কেরানীগঞ্জে নতুন করে আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে কেরানীগঞ্জে ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসাইন।
নতুন আক্রান্তরা হলেন শাক্তার বামুনশুর এলাকার এক নারী (৫০), একই ইউনিয়নের ঝাউচর এলাকার এক পুরুষ (৪৯) ও জিনজিরা পূর্ব রছুলপুর এলাকার ১৮ বছর বয়সী এক যুবক।
আরো পড়ুন: পিটিয়ে করোনা রোগী বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মডেল টাউন এলাকায় প্রথম ব্যক্তির শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ৬ এপ্রিল শুভাঢ্যার হিজলতলা, জিনজিরার রহমতপুর ও বাগে ৩ জন আক্রান্তকে সনাক্ত করা হয়।
পরদিন আক্রান্তের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও ৮ এপ্রিল ৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এদিন আক্রান্ত হন কালিন্দীর বরিশুর, শুভাঢ্যার বেগুনবাড়ি ও জিনজিরার গোলজারবাগের দুজনসহ ৪ জন। এদের মধ্যে গোলজারবাগে এক নারী ও তার ছেলে আক্রান্ত হয়। এর দুদিন আগে ওই নারীর স্বামী করোনা ধরা পড়ে।
৯ এপ্রিল কোন্ডার দোলেশ্বর, শুভাঢ্যার বেগুনবাড়ি ও কালিগঞ্জের ৩ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়। এরপর শুক্রবার আরও ৩ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। সবমিলিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত ঢাকার এ উপজেলায় ১৪ জনের আক্রান্ত হয়েছে।
কেরানীগঞ্জে হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনার সংক্রমণরোধে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ইতিমধ্যে জিনজিরা, শুভাঢ্যা, শাক্তা, কালিন্দী ও আগানগর ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিনই নতুন নতুন আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল জানান, কেরানীগঞ্জের বেশিরভাগ ইউনিয়নই অত্যন্ত জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ন। বিশেষ করে শুভাঢ্যা, আগানগর, জিনজিরা, শাক্তা ও কালিন্দী ইউনিয়নে সংক্রমণের ঝুঁকিটা বেশি। আক্রান্তদের বেশিরভাগই এই ইউনিয়নগুলোর বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ঝুঁকি ও নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে এই ৫টি ইউনিয়ন লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, করোনা থেকে বাঁচতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। অত্যন্ত ছোঁয়াচে এই ভাইরাস। যেহেতু এখনো এর কোনো ওষুধ বের হয়নি। তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ঘরে থাকার বিকল্প নেই।