দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার ময়দানে এ পর্বের মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভী। মোনাজাত শেষ হয় পৌনে ১২টার দিকে।
দ্বিতীয় ধাপের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ময়দানে ছুটে আসেন মুসল্লিরা। রোববার ভোর থেকে মুসল্লিরা দলে দলে আসতে শুরু করেন। অনেকেই মধ্যরাতে রওনা হয়ে ফজর নামাজে অংশ নেন। এ ছাড়া পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি নারীরাও অংশ নেন আখেরি মোনাজাতে।
এর আগে রোববার ফজরের পর বয়ান করেন ভারতের মুফতি মাকসুদ। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুল্লাহ। বয়ানের পরেই হেদায়াতি বয়ান শেষে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ।
রোববার সকাল থেকে ময়দানের চারপাশের বাসাবাড়ি, বারান্দা, টঙ্গী-কামারপাড়া রোড, স্টেশন রোড, হাজির মাজার এলাকাসহ বিভিন্ন কারখানার খালি জায়গায় হাজার হাজার নারী বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে শামিল হওয়ার জন্য অবস্থান নেন। পুরুষদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সি নারীরা মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে টঙ্গী পৌঁছে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুসলিম জাতির অন্যতম বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। আর আজ রোবাবার (১১ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইজতেমার আয়োজন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) জুমার দিন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ফজর নামাজের পর টঙ্গীর তুরাগ তীরে পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলারের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ইজতেমা শুরু হয়। আর ৪ ফেব্রুয়ারি রোবাবার, আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ওই পর্বের ইজতেমা।
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাবলিগের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বিরোধী পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা ইজতেমা করবেন ২, ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি। চারদিন বিরতির পর সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করেন ৯, ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি।
চস/স