জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রিসালদার (বরখাস্ত হওয়া) মোসলেহ উদ্দিন খানসহ ৫২ জনের মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে সরকার। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭০তম সভার সুপারিশ অনুযায়ী গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সনদ বাতিল করে গত ৫ জানুয়ারি গেজেট জারি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়া ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি মোসলেহ উদ্দিন পলাতক রয়েছে। গত ১৯ নভেম্বর জামুকার সভায় মোসলেহ উদ্দিনের বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হয়। মোসলেহ উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুরের দত্তেরগাঁও গ্রামে। মোসলেহ উদ্দিনের সেনা গেজেট নং-৬৪৩। তিনি কিছু দিন আগে ভারতে গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে তা এখনো নিশ্চিত করে জানায়নি সরকার।
সনদ বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন— নরসিংদী সদরের আবুল ফজল, মো. জয়নাল, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের মৃত গোলাম মোস্তফা, গাজীপুরের কালীগঞ্জের আবদুল কাদের, মো. আলতাফ হোসেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মো. ওয়াহিদুর রহমান ও মরহুম মো. আবদুল মালেক।
পাবনার ঈশ্বরদীর মো. তরিকুল ইসলাম, পাবনা সদরের মো. নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের মো. আব্দুল বাছেদ করিম ও সখিপুরের মো. আ. বছির মিয়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মৃত ইলিয়াস মিয়া, তোফাজ্জল হোসেন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মো. শহীদুল্লাহ সরদার, মৃত আলী আকবর, মনিরুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ, আবদুল মাজেদ, বরিশালের উজিরপুরের মো. বেলায়েত আলী বিশ্বাস, মো. আবদুল হাকিম মোল্লা, এছাহাক মুন্সি, আবদুল মাজেদ আলী হাওলাদার, মৃত মো. আ. রহিম, হারুন অর রশিদ এবং আ. রহমান ,কিশোরগঞ্জের মৃত মো. মুখলেছুর রহমান, মো. নাসিরুল ইসলাম খান ও মো. আজিজুল হকের সনদ বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়াও কক্সবাজার উখিয়ার রুহুল আমিন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ডা. এ গাফফার মিয়া যুদ্ধাহত, বগুড়ার সারিয়াকান্দির মো. সামাদ আলী, নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চাঁদ মোহাম্মদ, মো. ওসমান আলী, মো. জাকির হোসেন, আ. কাদের মোল্লা, আ. রহমান, আ. জব্বার, সরদার মো. বয়েত রেজা, মো. শামসুল হক, মৃত সিরাজুল ইসলাম, মো. আ. গফুর খান, মো. শফি উদ্দিন, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আ. রব, মো. জামাত আলী, মো. আ. সামাদ, মো. আফজাল হোসেন, মো. আ. আউয়াল, মো. রফিকুল ইসলাম, মৃত আনছার আলী, মৃত নুরুল ইসলামের সনদ বাতিল করা হয়েছে।
চস/আজহার