চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি-জামায়াত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।
ক্ষমতাসীন দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন রোববার রাতে বন্দর নগরীর বহদ্দারহাটে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন।
ভোটের তিন দিন সিইসি কে এম নূরুল হুদা এসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ জানানোর পর ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে নৌকার মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম ছিলেন না।
কামাল বলেন, দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া চট্টগ্রামে নির্বাচনের পরিবেশ এখনও ভালো। কিন্তু আমাদের কাছে খবর আছে- সেই ভালো পরিবেশকে নষ্ট করার জন্য যে দলটির পায়ের তলায় যখন মাটি নেই, সাংগঠনিকভাবে যে দলটি শক্তি হারিয়েছে, সেই দল বিএনপির নেতারা এখন তাদের মিত্র জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডার, বিভিন্ন মামলার আসামি যারা অতীতে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, পেট্রোল বোমা মেরেছে, আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, সেসব সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে।
চট্টগ্রামকে আতঙ্কের শহর বানানোর চেষ্টা করছে। চট্টগ্রামের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা চট্টগ্রামে সকল সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে যাতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় এবং তার দায়দায়িত্ব সরকারি দলের উপর দেওয়া যায়।
বিএনপির ইভিএমের বিরোধিতার জবাবে তিনি বলেন, “ব্যালটে নির্বাচনে অনেকসময় ত্রুটি হয়, এটা আমরা স্বীকার করি। জোর করে সিল মারা যায়, যেটা অতীতে বিএনপি করেছে। কিন্তু ইভিএম পদ্ধতিতে সে সুযোগ নেই। এখানে আমার ভোট আরেকজন জোর করে দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকার এই আধুনিক পদ্ধতি বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করছে।
“আর বিএনপির প্রার্থী সেই ইভিএমকেও বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। কারণ উনি জানেন নির্বাচনে উনি হেরে যাবেন। মানুষ উনার দল বিএনপির অতীত কর্মকাণ্ড ভুলে যায়নি।”
তিনি বিএনপির ‘ষড়যন্ত্র’ সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য চট্টগ্রামবাসী ও প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
চস/আজহার