কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ (৮০) গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের আইসিইউ’তে রয়েছেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসের সংক্রমব্যাধিতে ভুগছেন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) তার ভাই মোহাম্মদ খালেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর তিনদিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শ্যামলীর ওই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর ছাড়াও খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ দায়িত্ব পালন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও। পুঁজিবাজারে ধসের কারণ অনুসন্ধানে করা তদন্তের নেতৃত্ব দিয়েও দেশজুড়ে আলোচিত ব্যক্তি তিনি।
মোহাম্মদ খালেদ জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই তার অবস্থা খুবই জটিল। যেকোনো মুহূর্তে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কার মধ্যেই তার পরিবারের কাছে থেকে বন্ডে সই নেয়া হয়েছে।
মোহাম্মদ খালেদ বলেন, উনি আসলে করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং নিউমোনিয়া হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার ফুসফুসে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তিনি একটু সুস্থবোধ করছিলেন। এরপর তিনি ১৫ লিটার অক্সিজেন নিচ্ছিলেন। তারপর তাকে কেবিনে নেয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে আজ মঙ্গলবার সকালে ৪ লিটার অক্সিজেন নিচ্ছিলেন। এরপর তার প্রেসার নেমে যাওয়ায় আইসিইউতে আবার নিয়ে যাওয়া হয়। এখন তার প্রেসার বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তার অবস্থা একটু জটিল। এবং তার বয়স ৮০ বছর হয়ে গেছে। এই বয়সে ডাক্তার তার নরমাল প্রেসার নিয়ে আসতে পারছে না। সে কারণে অন্যভাবে চেষ্টা করার জন্য তাকে আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়ার আগে বন্ড সই নিয়েছেন ডাক্তাররা। তাই বলা যাচ্ছে তার অবস্থা অনেকটা জটিল।
আরো পড়ুন: আল জাজিরার প্রতিবেদন ভিত্তিহীন ও মানহানিকর
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তির পর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয় খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের। যেখানে দেখা যায়, তিনি আক্রান্ত হয়েছেন নিউমোনিয়াতেও। যেটি বয়স বেশি হওয়ায় কিছুটা জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
চস/স