পশ্চিম বাংলার এক যুবক ১৯৬৪ সালে ঢাকায় পা রেখেছিলেন পরিবারের হাত ধরে। কে জানতো ভাগ্য তার জন্য এখানে এত সাফল্যের গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। ক্যারিয়ার শুরু করেন সহকারী পরিচালক হিসেবে। সেই তিনি হুট করেই হাজির হন নায়ক হয়ে। অধ্যাবসায় আর ভাগ্যদেবী তাকে দু হাত উজাড় করে দিয়েছে। একের পর এক উপহার দেন সুপারহিট সব সিনেমা। কলকাতায় যখন উত্তম-সৌমিত্ররা সুচিত্রা-সুপ্রিয়া-অপর্ণা-শর্মিলাদের নিয়ে দর্শক মাতাচ্ছেন এপার বাংলায় তখন সুচন্দা-কবরী-শাবানা আর ববিতাদের নিয়ে দর্শক মনে আনন্দ বিলিয়েছেন তিনি। রোমান্স, একশনে দিনে দিনে হয়ে উঠলেন তিনি এদেশীয় সিনেমার রাজা। তিনি নায়করাজ রাজ্জাক। গতকাল ছিল নায়করাজের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেতা রাজ্জাক। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্র অঙ্গন তথা সারাদেশে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। সেই শোকের দাগ এখনো রয়ে গেছে দর্শকের অন্তরে অন্তরে। নায়করাজের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতিসহ নানা সংগঠনের পক্ষ থেকে নায়করাজ রাজ্জাকের সমাধিতে ফুল দিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। ছিল স্মরণ সভার কর্মসূচিও। বিটিভি এবং বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন দিবসটিতে নায়করাজ অভিনীত চলচ্চিত্র সম্প্রচার করবে বলে জানা গেছে
চস/আজহার