ডিপিএল

সাইফের ঝড়ে শেখ জামালকে উড়িয়ে দিল দোলেশ্বর

মূল কাজটা করে দিয়েছিলেন দুই পেসার রেজাউর রহমান রাজা ও শফিকুর ইসলাম। তাদের দুজনের ৮ ওভারে ৩৬ রানের বিপরীতে পড়েছে ৫টি উইকেট। যে কারণে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি মোহাম্মদ আশরাফুল, নুরুল হাসান সোহানদের শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড। তাদের ইনিংস থামে মাত্র ১২৩ রানে।

পরে বাকি কাজটুকু ঝড়ের সারেন প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ডানহাতি ওপেনার সাইফ হাসান। তার ৩৩ বলে ৬০ রানের মারমুখী ইনিংসে ১৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়েছে দোলেশ্বর। সুপার লিগে এটিই দোলেশ্বরের প্রথম জয়। রোববার প্রথম ম্যাচ জয়ের পর এবার হেরে গেল শেখ জামাল।

ads here

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৬৫ রান যোগ করেন দোলেশ্বরের দুই ওপেনার ইমরানউজ্জামান ও সাইফ হাসান। ইনিংসের নবম ওভারে আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ২০ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ইমরান। তার ইনিংসে ছিল দুইটি চারের মার।

আরও পড়ুন:- আত্মঘাতী গোলে পেরুর কাছে হারল কলম্বিয়া

অন্যদিকে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন সাইফ। তিনি আউট হন ১১তম ওভারে। দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সোহরাওয়ার্দি শুভ। আউট হওয়ার আগে দলের জয় নিশ্চিত করা ইনিংসে ৭ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩৩ বলে ৬০ রান করেন তিনি। পরে ফজলে রাব্বি ২১ ও মার্শাল আইয়্যুব ১২ রান করে দোলেশ্বরকে ৬ উইকেটের জয় এনে দেন।

এর আগে শেখ জামালের ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ঘটে বিব্রতকর কাণ্ড। কামরুল রাব্বির করা খাটো লেন্থের ডেলিভারি পুল করেছিলেন মোহাম্মদ এনামুল। ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক হয়নি, বল ছিল উইকেটের কাছেই। তড়িঘড়ি করে রানের জন্য ছোটেন ননস্ট্রাইকে থাকা নুরুল হাসান সোহান।

কিন্তু রান নেয়ার পথে পা দিয়ে আটকে দেন বলটি। ফলে সেটি ধরতে পারেননি বোলার রাব্বি। সঙ্গে সঙ্গে আপিল করেন রাব্বিসহ দোলেশ্বরের বাকি ফিল্ডাররা। মাঠের দুই আম্পায়ার সরাসরি আউটের সিদ্ধান্ত জানাননি। তারা দ্বারস্থ হন টিভি আম্পায়ারের। তবে নিজের ভুল যেন আগেই বুঝতে পারেন সোহান। থার্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা ধরেন শেখ জামাল অধিনায়ক।

বিব্রতকরভাবে ইনিংসের সমাপ্তি ঘটলেও, যতক্ষণ মাঠে ছিলেন, বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলাই করেছেন সোহান। আগেরদিন ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৪৪ রান করার পর, আজকে খেলেছেন ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৪২ রানের ইনিংস। স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে উইকেটের চারপাশেই বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি।

সোহানের এমন ইনিংসের পরেও অবশ্য বেশি দূর যেতে পারেনি শেখ জামাল। তবে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের বিপর্যয় সামলে বলার মতো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে তারা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করেছে শেখ জামাল। ম্যাচ জিততে ১২৪ রান করলেই হবে দোলেশ্বরের।

শেখ জামালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন সোহানই। এছাড়া ইমরুল কায়েস ২৮ বলে ২৭ ও মোহাম্মদ এনামুল করেছেন ১৫ বলে ১৩ রান। আরও একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে ৮ বল খেলে মাত্র ৪ রানে সাজঘরে ফিরে গেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আগের ম্যাচে ৬০ রান করা সৈকত আলি আজ আউট হয়েছেন মাত্র ১ রানে।

বল হাতে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। এছাড়া শফিকুল ইসলাম ২ ও কামরুল রাব্বি, সাইফ হাসান ও শরিফুল্লাহ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

 

চস/আজহার

ads here