শেখ হাসিনা শুধু একটি নাম নয়। এই নামটি এখন বাংলার মানুষের জন্য বড় সম্পদ। বলা যায় তিনি বাংলার মানুষের কাছে রত্ন। আজকের এই ডিজিটাল সোনার বাংলার কারিগর তিনি। যার ভরসায় এই দেশের মানুষ নতুনভাবে জীবন-যাপন করতে শিখেছে। এগিয়ে যেতে শিখেছে। তিনি অন্যায়কে কখনোই সমর্থন করেন না সেটার প্রমাণ প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান কঠোরভাবে পরিচালিত হয়েছে। তিনি ক্যাসিনোকান্ডে তার নিজের দলের ভেতর যারা দুর্নীতি করতো তাদের ছাড় দেননি। যা রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। ছাড় পাননি সাহেদ, পাপিয়া, সাবরিনার মতো বিভিন্ন দুর্নীতিবাজরা। সরকারের ছায়ায় বসে যারা অপকর্ম করছেন তাদেরকেই তিনি প্রথমে ধরছেন। যা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়। এই উপমহাদেশে এমন রাজনৈতিক নেতৃত্ব এর আগে কখনও কেউ দেখেনি। যিনি অপরাধী নিজের দলের হলেও তাকে কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি দিতেও বিন্দুমাত্র চিন্তা করেন না।
আমরা সাম্প্রতিক সময়ের বিষয়গুলোর দিকে তাকালেই অনেক কিছু জানতে পারি। বর্তমান সময়ের কঠিন পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা অপরিসীম। তিনি বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, মাতৃত্ব ভাতা, বিধাব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ আরও অনেক সহয়তা প্রদান করে চলেছেন দেশের অসচ্ছল জনগোষ্ঠির জন্য। কিছুদিন আগে দেশের একজন প্রতিবন্ধী মেয়ে রায়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে তার সাথে একজন প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কলে কথা বলা এটা পৃথিবীর ইতিহাসে খুবই বিরল এবং যাহা তার মমত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীর বিষয় এবং করোনার কঠিন সময়ে মানুষের পাশে দাড়াঁনোর বিষয়টাও বিশ্ববাসির নজর কেঁড়েছে।
তার সাহসিকতায় আজ বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করতে পেরেছে। তার দৃঢ় মনোবল এবং অদম্য সাহস বাংলার মানুষকে সবসময় এগিয়ে নিয়ে যায়। তার এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কারণে আজ বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মান এবং মর্যাদা আরও অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের পদ্মাসেতু আমরা নিজেরাই করেছি নিজ খরচে। এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে! এমন অনেক উন্নয়ন দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরেই হচ্ছে। চট্টগ্রামে স্বপ্নের টানেল এর চল্লিশ শতাংশ কাজ শেষ। এটাও প্রধানমন্ত্রীর একটি অনন্য উপহার চট্টগ্রামবাসীর জন্য। এছাড়াও মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন উন্নয়ন আমরা নিজেরাই দেখছি।
একজন নারী নেত্রী হিসেবে বিশ্বের নারী নেত্রীদের কাছে তিনি আইডল। তার নেতৃত্বগুণ দেশে-বিদেশে সকলকেই আকৃষ্ট করেছে। তিনি ফোর্বাসের তথ্যমতে বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের একজন। কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ জননেত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু আর্ন্তজাতিক সম্মাননা পেয়েছেন। যেমন, ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টম্বর ইউনিসেফের চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ পুরস্কার নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও সে বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির ব্যাপক সফলতা, বিশেষ করে পোলিও নির্মূল এবং ডিপথেরিয়া, হেপাটাইসিস বি ও রুবেলার মত মরণব্যাধি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখায় শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এ পুরস্কার তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর অল্পকিছুদিন আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজরি কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা এম্বাসেডর টি পি শ্রীনিবাসন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ পদক হস্তান্তর করেন। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও পারস্পরিক সন্তোষজনক সম্পর্ক, নিজ দেশের জনগণের কল্যাণ, বিশেষ করে নারী ও শিশু এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় তার অঙ্গীকারের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আবদুল কালামের নামাঙ্কিত এ পদক দেওয়া হয়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে ইনস্টিটিউট অব সাউফ এশিয়ান উইমেন। বার্লিনে ২০১৯ সালের ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ পদক গ্রহণ করেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাসে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য উইমেন ইন পার্লামেন্ট (ডব্লিউআইপি) ও ইউনেস্কো বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘ডব্লিউআইপি গ্লোবাল ফোরাম অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে দায়িত্বশীল নীতি ও তার মানবিকতার জন্য প্রধানমন্ত্রী আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট এওয়ার্ড এবং ২০১৮ স্পেশাল ডিসটিংশন এওয়ার্ড ফর লিডারশিপ গ্রহণ করেন।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নিউজ এজেন্সি ‘দি ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) এবং নিউইয়র্ক, জুরিখ ও হংকং ভিত্তিক তিনটি অলাভজনক ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্ক গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে দুটি এওয়ার্ডে ভূষিত করে। বাংলাদেশে নারী শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরিতে অসামান্য নেতৃত্বদানের জন্য ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব ওমেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক ভোজ সভায় মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানায়। সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিশ্বের প্রায় ১৫০০ নারী নেতৃত্বের উপস্থিতিতে গ্লোবাল সামিটের প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদের কাছ থেকে তিনি গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।
চতুর্থবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আন্তর্জাতিক মহলের বাড়তি মনোযোগে আসেন ১৯৯৮ সালে। সে বছর দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকের অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রীকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে। ১৯৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ফেদেরিকো মেয়র বলেছিলেন, “জাতি গঠনে আপনার পিতার অনুসৃত পথ অবলম্বন করে আপনি দেশকে শান্তি ও পুনর্মিলনের পথে নিয়ে গেছেন। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার উদ্যোগ ও নিষ্ঠা বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”
আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি শেখ হাসিনার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম এবং ভারতের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন, সাহিত্য, লিবারেল আর্টস এবং মানবিক বিষয়ে ৯টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এমডিজি) অর্জনে বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসে অবদানের জন্য জাতিসংঘের অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৫ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আইসিটি’র ব্যবহারে প্রচারণার জন্য শেখ হাসিনাকে ‘আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। দেশের উন্নয়নে তার অব্যাহত অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে এ পদক প্রদান করা হয়। এছাড়াও নারী শিক্ষা প্রসারের জন্য ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেখ হাসিনাকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ ও ২০১৩ সালে দু’বার সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। স্বাস্থ্য খাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে ওই সম্মাননা দেওয়া হয়।
এছাড়াও পার্ল এস বাক এওয়ার্ড (১৯৯৯) সিইআরইএস পদক, মাদার তেরেসা পদক, এমকে গান্ধী পদক, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার (২০০৯), ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণ পদক, হেড অব স্টেট পদক, গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড (২০১১, ২০১২) ও নেতাজী স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯৭) পেয়েছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটি ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেখ হাসিনাকে একটি সনদ প্রদান করে। খাদ্য উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও আইসিটি উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য তাকে ওই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের অ্যালবার্টা ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিবারেল আর্টস এ ভূষিত করে।
এছাড়াও তাকে যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় ও জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’ প্রদান করে। ১৯৯৯ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে দেসিকোত্তামা ডিগ্রি এবং অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করে। ২০০৫ সালে রাশিয়ার পিপলস ফ্রেন্ডশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য তাকে ওই সম্মাননা দেওয়া হয়। দেশে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করে। ২০০০ সালে ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলস তাকে অনন্য সম্মাননা প্রদান করে। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ বৈশ্বিক পুরস্কার চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দূরদর্শী পদক্ষেপে নেয়ায় তাকে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ পুরস্কার ও ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ প্রদান করা হয়। নারী ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এসব পুরস্কার শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছে তার যোগ্যতায়। সর্বমোট ৩৯ টি আর্ন্তজাতিক পদক পেয়েছেন এ দেশরত্ন। অদূর ভবিষ্যতে তিনি আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হবেন এটা আমার বিশ্বাস। বিশ্বাস করার কারণও আছে প্রচুর। যিনি সৎ এবং স্বচ্ছ তিনি এমন পুরস্কার হাজার হাজার পেতে পারেন। কারণ তার কাজ তাকে তুলে ধরছে দেশের মানুষের কাছে, বিশ্বের কাছে। আজ গোটা দুনিয়ার কাছে তিনি একজন মহৎ নেতৃত্বের অনন্য উদাহরণ।
অথচ আমরা রাজনৈতিক স্বার্থ চারিতার্থ করতে গিয়ে তার এই মহৎ কর্মের সাথেও দ্বিমত পোষন করি। যদি সত্য বলা যেতো, তাহলে পুরো বাংলাদেশের মানুষ একসুরে শেখ হাসিনাকে নিয়ে জয়ধ্বনি দিতো। বাংলাদেশ দল যখন ক্রিকেট খেলায় জিতে যায় প্রধানমন্ত্রী নিজে ফোন করে খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানায়, ভালোবাসা দেয়। যেকোনো খেলোয়াড়, লেখক, সাংবাদিক, গায়ক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের কাছের মানুষ মনে করেন। সবসময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, বিপদে পাশে দাঁড়ান। অথচ আমরা দলাদলির কারণে এসব কথা ভুলে যাই।
প্রবাদ আছে, মানুষ দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বুঝেনা। তাই বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহৎ নেতৃত্বেও এক উজ্জল নক্ষত্র তা আমরা এখন যতটুকু না উপলব্ধি করতে পারছি তার অবর্তমানে পুরোটাই বুঝতে পারবো। কিন্তু আপনি শেখ হাসিনাকে ভালোবাসুন আর নাই বাসুন তিনি বাংলার মানুষকে আর এই সোনার বাংলাকে তার বাবার মতো করেই ভালোবেসে যাবেন। প্রিয় এই মানুষটির প্রতি রইলো অপার ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোদ ও কৃতজ্ঞতা। সৃষ্টিকর্তার কাছে তার র্দীঘায়ু কামনা করি। কারণ আমাদের মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনা ভালো থাকলে ভালো থাকবে বাংলাদেশ।
আজহার মাহমুদ
লেখক: প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম সময়