১৪৬ বছরের ইতিহাসে টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় বড় জয়

গত ২৩ বছরে অনেক ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়াতে হয়েছে। আবার টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের অনেক রেকর্ডও হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষে। তবে এত বড় রেকর্ড এর আগে হয়নি।টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে যে এখন ওপরের দিকে জ্বলজ্বল করবে বাংলাদেশের নাম।

ads here

এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে লিটন দাসের দল যে একটা বড়সড় রেকর্ড গড়তে পারে , এমন আভাস মিলেছিল গতকাল শুক্রবারই। বোঝাই যাচ্ছিল একটা রেকর্ডমোড়ানো জয় পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঘুরিয়ে বললে বলতে হবে, বাংলাদেশের সামনে ছিল ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানোর হাতছানি। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই।

আজ ১৭ জুন শনিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। যেটা টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে রানকে মানদণ্ড ধরে তৃতীয় সরচেয়ে বড় জয়।

রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়টি ইংল্যান্ডের। ৯৫ বছর আগে ১৯২৮ সালে নভেম্বর ব্রিসবেনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছিল ইংলিশরা।

তারপর দ্বিতীয় বড় জয়টি অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডের সাথে ৫৬২ রানের বিরাট জয় আছে অসিদের। সেটা ১৯৩৪ সালের আগস্ট মাসের ঘটনা। ভেন্যু ছিল লন্ডনের ওভাল।

এখন তৃতীয় বড় জয়টি বাংলাদেশের। এতকাল তৃতীয় জয়টি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯১১ সালে মেলবোর্ন মাঠে ৫৩০ রানের বড় জয় ছিল অসিদের।

আজ আফগানদের বিপক্ষে ৫৪৬ রানে জিতে টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় দেড়শো বছরের ইতিহাসে তৃতীয় জয়টি নিজেদের করে নিল লিটন দাসের দল।

এর আগে টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, ২০০৫ সালের জানুয়ারি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। সে টেস্টে ২২৬ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়টিও (২২০ রানে) জিম্বাবুয়ের সাথে, ২০২১ সালের জুলাই হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে। এছাড়া ঘরের মাঠে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়াম জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানে হারানোর রেকর্ডও ছিল টাইগারদের।

আর ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের রেকর্ডও ছিল টাইগারদের। সে সব ব্যর্থতা ঝেড়ে মুছে এবার আফগানদের রান পাহাড়ের নিচে চাপা দিলো টাইগারর। অনেক বড় বড় দলকে পিছনে ফেলে টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় বড় জয়টি তুলে নিলো। নাম লেখালো ইতিহাসের পাতায়।

চস/আজহার

ads here