আপাতত আয়কর প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রবিবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বিরোধী দলের জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান অর্থমন্ত্রী।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। রবিবার প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে ১.১ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) গত জুলাই থেকে-মে পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। যা গত বারের চেয়ে ১.১ শতাংশ বেশি।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকিং সেবাখাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এক হাজার ৪৮২ কোটি কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে আমদানি পর্যায়ে কাঁচামালের মূল্য ও ফ্রেইট চার্জ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এতে কাস্টম ডিউটি বাড়লেও স্থানীয় পর্যায়ের রেয়াতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব কমেছে।
আয়কর প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গার এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সঞ্চয়পত্রের লভ্যাংশের ওপর ও প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের ওপর আগে থেকেই উৎসে আয়কর ধার্য আছ। তবে এর ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও প্রাইজবন্ড বিক্রি কমেনি। উৎসে আয়কর প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিগত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। স্থানীয় পর্যায়ে মূসকের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৮৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। বৈশ্বিক মহামারির কারণে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম সীমিত হওয়ায় তিন হাজার ৮৯৬ কোটি, আমদানি ও স্থানীয় পর্যায়ে কিছু পণ্যে কর অব্যাহতি দেওয়ায় ৩৪৪ কোটি, বিদ্যুৎ সরবরাহ খাতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫০৬ কোটি, জ্বালানি সংকটের কারণে সিরামিক কিছু গ্রুরুত্বপূর্ণ খাতের উৎপাদন ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে যাওয়ায় রাজস্বের পরিমাণ কমেছে।
চস/স