আজ ২২ শ্রাবণ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম শীর্ষ রূপকার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মৃত্যুবার্ষিকী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন ৭ মে ১৮৬১, ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ। তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়।
রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয় শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি, গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তাঁর ‘অভিলাষ’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত রচনা।
১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি বর্জন করেন। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।
দীর্ঘ রোগভোগের পর ৭ আগস্ট ১৯৪১, ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনে তাঁর মৃত্যু হয়।
চস/স