ফুলহ্যামের জালে ম্যানসিটির গোলবন্যা

আরলিং হালান্ডকে একজন গোলমেশিন বললে সম্ভবত কম বলা হবে না। জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর গত আসরেই গোলের রেকর্ড করেছেন। ক্লাবকে জিতিয়েছেন ট্রেবল শিরোপা। এবারের মৌসুমেও সেই একই ধারাবাহিকতা নরওয়েজিয়ান এই ফুটবলারের পায়ে।

ads here

এবার ঘরের মাঠে ফুলহ্যামের বিপক্ষে রীতিমতো হ্যাটট্রিক করলেন ম্যানসিটির এই স্ট্রাইকার। মৌসুমে এটা তার প্রথম হ্যাটট্রিক। হালান্ডের হ্যাটট্রিকের ওপর ভর করে ফুল্যাহমের জালে গোলবন্যা তৈরি করে ম্যানসিটি ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে।

একদিন আগেই মেসি-এমবাপেদের মতো ফুটবলারকে পেছনে ফেলে ইউরোপ সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন হালান্ড। সেরার পুরস্কারপ্রাপ্তির উদযাপনটা তিনি এভাবে মাঠে করবেন, তা হয়তো ফুলহ্যাম কল্পনাও করতে পারেনি।

ফুলহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নামা মানেই ম্যানসিটির জয়। সর্বশেষ ১৫ ম্যাচে ফুলহ্যামের বিপক্ষে জয় পেয়েছে ম্যানসিটি। এই জয়ে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের জয়ের শতভাগ রেকর্ড বজায় থাকলো। এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে টানা জয় পেয়েছে সিটিজেনরা।

৪ ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড।

ম্যাচের প্রথম আধাঘণ্টা কোনো গোল হয়নি। ৩১তম মিনিটে গিয়ে প্রথম ফুলহ্যামের গোলের তালা খোলেন আর্জেন্টাইন তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। ২ মিনিট পরই ফুলহ্যাম সমতায় ফেরে। তাদেরকে সমতায় ফেরান টিম রিম।

প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে এসে গোল করে আবারও ম্যানসিটিকে লিড এনে দেন ডাচ তারকা নাথান একে। দ্বিতীয়ার্ধ ছিল পুরোটা হালান্ডময়। মাচের ৫৮তম মিনিটে নিজের প্রথম এবং দলের তৃতীয় গোল করেন হালান্ড।

৭০তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোল করেন সদ্য ইউরোপ সেরার পুরস্কার পাওয়া এই ফুটবলার। খেলার ইনজুরি সময়ে গিয়ে (৯০+৫ মিনিট) হ্যাটট্রিকের গোলটি করেন তিনি। সে সঙ্গে দলকে এনে ৫-১ গোলের বড় জয়।

ম্যাচের পর হালান্ড বলেন, ‘আমি ফিরে এসেছি। আমার জন্য কোনো সমস্যা নেই। সব সময়ই আমি ক্ষুধার্ত। এটা নতুন একটি মৌসুম। এই মৌসুমের জন্যও আমি প্রস্তুত।’

 

চস/আজহার

ads here