শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কলেজছাত্রী। শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার বিঝারি ইউনিয়নের কান্দিগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৪ মার্চ) এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় একটি মামলা করেছেন ধর্ষিতার পরিবার। ঘটনার পর স্বজনরা ওই কলেজছাত্রীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। যদিও পুলিশ অভিযান চালিয়ে এখনো কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি।
আরো পড়ুন: ২৩ এপ্রিল নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যা মামলার প্রতিবেদন
ওই ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী বড় বোনের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শরীয়তপুর সরকারি কলেজে যায়। মিটিং শেষে ১২টার দিকে ফেরার পথে অটোরিকশায় করে পালং উত্তর বাজার থেকে কানার বাজার যান। সেখান থেকে বাড়িতে যাবার অটোরিকশা না পেয়ে হাঁটতে থাকেন ঐ কলেজছাত্রী। একপর্যায়ে কান্দিগাঁও এলাকায় পৌঁছালে ফাঁকা সড়কে ওই এলাকার জয়নাল মোল্লার ছেলে শৃঙ্খল মোল্লা (২৫) তাকে জোরপর্বক স্থানীয় নিপু খাঁর মাছের প্রজেক্টে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সেখানে তার আরও বন্ধুদের ডাকা হয়। পরে শৃঙ্খলের তিন বন্ধু কালু শিকদারের ছেলে হৃদয় শিকদার (২৫), আলমগীর মোল্লার ছেলে মুরাদ মোল্লা (২২) ও কাশেম সরদারের ছেলে আরিফ সরদার (২৩) পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। ধর্ষন শেষে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে স্বজনরা খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে ভর্তি ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে শৃঙ্খল, হৃদয়, মুরাদ ও আরিফ খারাপ কাজ করেছে। তাদের হাত-পায়ে ধরলেও আমাকে ছাড়েনি । আমার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, আংটি, রুপার নুপুরসহ নগদ টাকাও নিয়ে যায় ওরা। ’ ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ওরা খারাপ কাজ করেছে। মেয়েকে এখন কিভাবে বিয়ে দেব, গ্রামে কেমনে মুখ দেখাবো? আমার মেয়েকে যারা খারাপ কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেয়া হোক।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. লিমিয়া সাদিয়া বলেন, ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট সম্পূর্ণ হলে বলা যাবে তার সঙ্গে কি হয়েছিল।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এখনো কেন আসামিকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযান চলছে।
চস/আজহার