করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আবারও প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তিনবার তাকে প্লাজমা থেরাপি দেওয়া হলো। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
শনিবার (৬ জুন) গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ বলেন, বর্তমানে জাফরুল্লাহ স্যারের শ্বাসকষ্ট আছে। তবে শুক্রবারের (৫ জুন) মতো বেশি শ্বাসকষ্ট নেই। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে কম পরিমাণে। সকালের নাস্তায় সামান্য পরিমাণে নরম খাবার খেয়েছেন। শারীরিক দুর্বলতা আছে খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না করতে পারার কারণে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ব্রিগেডিয়ার অধ্যাপক ডা. মামুন মুস্তাফিজ ও অধ্যাপক ডা. নজীবের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার জানান, কিডনি রোগের জন্য আগে সপ্তাহে তিন দিন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ডায়ালাইসিস করাতে হত। কিন্তু, করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এখন প্রতিদিন করতে হয়। এর মধ্যে, গত ৪ জুন যখন তার কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু হয়, সে সময় শারীরিক অবস্থার কারণে ডায়ালাইসিস সম্পন্ন করা যায়নি। শুক্রবার সারাদিন তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল। সারাদিনই তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। ডায়ালাইসিস ও প্লাজমা থেরাপির কারণে গতকালের তুলনার আজকে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা ভালো।
ডা. মহিবুল্লাহ আরও বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জ্ঞান আছে, স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন ও খাবার খাচ্ছেন। আজ সকালে উঠে নাশতা করেছেন। জ্বরও নেই, তবে মাঝেমধ্যে সামান্য শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মূল সমস্যা তার ফুসফুসের অবস্থা ভালো না। সেই জন্য তাকে অ্যান্টিবায়োটিকসহ ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। আগামী দুই থেকে তিন দিন তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এই সময়টা তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবমিলিয়ে আমরা আশাবাদী। সবাই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য দোয়া করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রথমে গণস্বাস্থের র্যাপিড ডট ব্লট কিটের পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরীক্ষাতেও একই রেজাল্ট আসে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলেও বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চস/আজহার