ফেনীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ফেনী পৌরসভার ডাক্তারপাড়া, রামপুর ও শান্তি কোম্পানি এলাকা, দাগনভূঁঞা পৌরসভা, রাজাপুর, পূর্বচন্দ্রপুর ও ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন এলাকা বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন শুরু হয়েছে।
জানা যায়, ফেনী পৌরসভার ডাক্তারপাড়া (১০ নম্বর ওয়ার্ড), শান্তি কোম্পানি (১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড) ও রামপুর (১৬ নম্বর ওয়ার্ড) এলাকা এবং দাগনভূঁঞা পৌরসভা, রাজাপুর ইউনিয়ন, পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়ন ও ইয়াকুবপুর ইউনিয়ন এলাকা বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন শুরু হয়েছে।
তবে লোকজনকে বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হচ্ছে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে লকডাউন এলাকায় দেখা গেলেও প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কাউকে দেখা যায়নি। লোকজন তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। করোনাভাইরাসের কারণে অনেকদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা করায় একটু সমস্যা হবে বলে অনেকে জানান।
সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার আবদুল মান্নান বলেন, লকডাইন হলেও আমাকে ব্যাংকে যেতে হবে। কারণ আমার কাছে ব্যাংকের চাবি রয়েছে। তারপর ব্যাংক আমাকে লকডাউনের কারণে ছুটিও দেয়নি।
ডাক্তারপাড়ার বাসিন্দা ফেনী চেম্বারের পরিচালক আবুল কাশেম জানান, ফেনীতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তারপাড়া, রামপুর ও শান্তি কোম্পানি এলাকা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও পৌরসভা লকডাউন করেছে। লোকজনের একটু সমস্যা হবে তারপরও আমাদের মেনে চলা উচিত।
ফেনী পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন মুন্না বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করায় প্রশাসন ও পৌরসভার নির্দেশে লকডাউন পালন করা হচ্ছে। কোন লোক সমস্যায় আছে জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপরদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে ১২ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ছাগলনাইয়া পৌরসভা এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেন ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা ছাগলনাইয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি সাজিয়া তাহের।
আরো পড়ুন: ফেনীতে মৃত ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত
এ বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন মো: সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বরাবর পাঠানো হলে তা বুধবার (১০ জুন) বিকেলে স্বস্ব উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার মেয়র ঘোষণা দেন।
সিভিল সার্জন মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফেনী পৌর এলাকাতে এ পর্যন্ত ১০২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। পৌর এলাকায় শনাক্ত করা রোগীর মধ্য ডাক্তারপাড়ায় ২৩ জন, শান্তি কোম্পানি রোডে ১২ জন এবং ইসলামপুর রোড ১১ জন উল্লেখযোগ্য। এছাড়া শহরের তিনটিসহ পুরো জেলার আটটি এলাকা লকডাউনের সুপারিশ করে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জেলাটিতে বুধবার পর্যন্ত ৩৪৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামান জানান, স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য ও সুপারিশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে আলোকে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
* ইত্তেফাকের সৌজন্যে
চস/স