ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের হামলার বিরোধিতা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বুধবার (০২ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান। খবর আলজাজিরার।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। তেহরানের দাবি, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহসহ ইরানের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের হত্যার জবাবে ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় এই হামলা হয়েছে।
এ হামলায় ইসরায়েলে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইসরায়েল সরকার। নিরাপত্তা সংক্রান্ত নানা ব্যবস্থা নেয় তারা।ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মুখে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জরুরি বাংকারে আশ্রয় নেয়। সেখানেই বৈঠক করেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য চড়া মূল্য চোকাতে হবে। ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহল থেকেও একই কথা শোনা যাচ্ছে। তারা বলছেন, নেতানিয়াহু নির্দেশনা দিলেই পাল্টা হামলা হবে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে ইসরায়েল। দীর্ঘদিন ধরে এর দিকে চোখ দিয়ে রেখেছেন ইসরায়েলি নেতারা।
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট কোনো রাখঢাক ছাড়াই এই ধরনের হামলার আহ্বান জানিয়ছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে এখনই কাজ করতে হবে। আমাদের কাছে যুক্তি আছে। আমাদের কাছে রসদ আছে।
অন্যান্য মার্কিন কর্মকর্তারাও ইরানকে এই হামলার জন্য গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলে সতর্ক করেছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার যেমনটা বলেছেন, কোনো কিছুর সম্ভবনার কথা তিনি উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
তবে বুধবার মিত্র দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলার পর বাইডেন বললেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলাকে সমর্থন করবেন না। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইরানের প্রতি ইসরায়েলের যেকোনো প্রতিক্রিয়া আনুপাতিক হওয়া উচিত। বাইডেনের মতো একই অবস্থান ব্যক্ত করেছেন জি-সেভেনের নেতারাও।
চস/স