spot_img

৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

১৩৮ বছর পর চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ পাচ্ছে বহুতল ভবন

প্রতিষ্ঠার ১৩৮ বছর পর একটি বহুতল সমৃদ্ধ নিজস্ব কার্যালয় পাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। বর্তমানে অত্যাধুনিক সুযোগ—সুবিধা রেখে পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ কাজ। চলতি বছরের শেষের দিকে নতুন ভবনে কার্যক্রম শুরু হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৮৮৫ সালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্রিটিশ আমলে জেলা পরিষদের কিছু অংশ এবং পাকিস্তান আমলে অবশিষ্ট কিছু অংশের কাজ করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। কিন্তু পুরনো হওয়ার কারণে ভবনের কিছু কিছু অংশের পলেস্তরা ভেঙে পড়তে থাকে। এতে আহত হন অনেকে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। জেলা পরিষদ সূত্র জানায়, প্রায় ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি বেইসমেন্টসহ ১৮তলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের জুন মাসে।

বর্তমানে পঞ্চমতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সবগুলো ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সূত্র জানায়, নগরীর লালদিঘি মাঠ সংলগ্ন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নিজস্ব ৩৩ শতক জায়গায় এ ভবন তৈরি হচ্ছে। নিচের দুইটি বেইসমেন্টে মোট ৯২টি গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে। ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চমতলা জেলা পরিষদের নিজস্ব কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। অবশিষ্ট ১৪টি তলা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানির অফিস, ব্যাংক, বীমাসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক অফিসের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। তবে কোন ধরনের দোকানের জন্য এসব ভবন ভাড়া দেওয়া হবে না।

ভবনের নিচের প্রথম থেকে তৃতীয়তলা পর্যন্ত প্রতি ফ্লোরে আয়তন হচ্ছে ১৪ হাজার বর্গফুট। চতুর্থতলা থেকে ১৮তলা পর্যন্ত প্রতি ফেস্নারের আয়তন ১০ হাজার বর্গফুট করে। তৃতীয়তলায় তিনটি ছোট—বড় হল রুম থাকবে। এসব হল রুমে উঠানামার জন্য লিফট ছাড়াও একটি সিঁড়ি থাকবে। নতুন নির্মিতব্য জেলা পরিষদ ভবনে চারটি অত্যাধুনিক লিফট ও ২টি সিঁড়ি থাকবে। তাছাড়া প্রতিটি ফ্লোরে ওয়াশ ব্লক থাকবে। ভবনে নামাজের জন্য মসজিদ এবং উপরের তলায় একটি রেস্টুরেন্ট থাকবে। সবগুলো ফ্লোরের ছাদ ঢালাইয়ের পর বাণিজ্যিক সব ভবন টেন্ডারের মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল বলেন, ‘বর্তমানে জেলা পরিষদ ভবনের প্রায় ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। খুব দ্রুতগতিতে নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে পঞ্চমতলা পর্যন্ত ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সবগুলো ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ করা হবে। ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চমতলা জেলা পরিষদের নিজস্ব কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হবে। অবশিষ্ট ১৪টি তলা বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানির অফিস, ব্যাংক, বীমাসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক অফিসের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। তবে দোকানের জন্য কোন ধরনের বরাদ্দ দেওয়া হবে না।’

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘জেলা পরিষদের সম্পূর্ণ অর্থায়নে এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতি বছর জেলা পরিষদের নিজস্ব আয় থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হয়। সরকার থেকে পাওয়া যায় প্রায় মাত্র তিন কোটি টাকা। এ খাত থেকে কিছু টাকা আগে থেকে জমিয়ে রেখে এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। আশা করছি আগামী ৬ মাসের মধ্যে সবগুলো ভবনের ছাদ ঢালাই কাজ শেষ করা যাবে। এরপর অবশিষ্ট কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করা হবে। তবে তার আগেই চলতি বছরের শেষের দিকে নতুন ভবনে জেলা পরিষদের নিজস্ব কার্যালয় স্থানান্তর করা হবে।’

সূত্র: দৈনিক পূর্বকোণ অনলাইন

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss