ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এই জলাবদ্ধতার কারণে নগরী কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকায় চলাচলের জন্য চালু করা হয়েছে নৌকা সার্ভিস।
আজ সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
ভারী বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোল শহর, বাকলিয়া, বাদুরতলা, কাতালগঞ্জ, হালিশহর, আগ্রাবাদ ও পতেঙ্গা এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার কিছু কিছু স্থানে দোকানপাট ও বসতবাড়ি কোমর থেকে বুক পর্যন্ত সমান পানিতে ডুবে গেছে ৷ সড়ক গুলো কোথাও হাঁটু পানি আবার কোথাও গলা সমান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে।
নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত পাঁচলাইশ কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা কোমর পানিতে ডুবে যাওয়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের জরুরি চলাচলের জন্য আবাসিক সমিতির উদ্যোগে নৌকা সার্ভিস চালু করা হয়েছে৷
কাতালগঞ্জ আবাসিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজি জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “সামান্য বৃষ্টিতেই আমাদের আবাসিক এলাকায় কোমর সমান পানি উঠে যায়৷ তাই বাধ্য হয়ে স্থায়ীভাবে একটি নৌকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ এই দুর্যোগে এলাকার বাসিন্দাদের জরুরি প্রয়োজনে বাসার বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই এই নৌকাটি কেনা হয়েছে৷”
নগরীর জলাবদ্ধ এলাকা গুলোর বাসিন্দারা এই জলাবদ্ধতার জন্য এলাকায় পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পের কাজের জন্য বড় ড্রেন ও খালে অস্থায়ী প্রতিবন্ধকতাকে দায়ী করছেন। তাদের ভাষ্য, বড় ড্রেন ও খালের বিভিন্ন পয়েন্টে বাঁধ দেওয়ার কারণে তুলনামূলক নীচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে।
তবে আবহাওয়াবিদদের মতে যেহেতু ভোর থেকে চলমান বৃষ্টিপাতের সাথে সাথে সকাল ৯টার পর কর্ণফুলী নদীতে জোয়ার চলছে তাই স্বাভাবিক ভাবে শহরের ড্রেন ও খালের অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই এই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে সচেতন মহল বলছেন, চট্টগ্রামে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে বৃষ্টির পানির সাথে বিপুল পরিমান পাহাড়ি মাটি এসে শহরের ড্রেন গুলো দ্রুত ভরাট হয়ে যায়। এছাড়া চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য বিভিন্ন স্থানে দেয়া অস্থায়ী বাঁধের কারণেও অনেক স্থানে অবাধ পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটছে।
চস/আজহার