সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মারা গেছেন। আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আদদ্বীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও ছিলেন। আদদ্বীন হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, ব্যরিস্টার রফিক-উল হকে মরদেহ এখান থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নেয়া হবে। আজ শনিবার বাদ জোহর সেখানে জানাজার নামাজের মরদেহ নেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
৮৫ বছর বয়সী এই আইনজীবী রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ নানা রকম বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে গত ১৬ অক্টোবর (শুক্রবার) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কিছুটা সুস্থবোধ করলে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় যান। সপ্তাহ পরে গতকাল শুক্রবার ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার তিনি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপাড়ে পাড়ি জমালেন।
আরো পড়ুন: করোনা: একদিনে আরও ২৪ জনের মৃত্যু
রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও এলএলবি ডিগ্রি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে ইংল্যান্ড থেকে ‘বার অ্যাট ল’ সম্পন্ন করেন।
পরে তিনি ১৯৬২ সালে আইনজীবী হিসেবে ঢাকার উচ্চ আদালতে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান।
সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অনেক রাজনীতিবিদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াই করে আলোচনায় ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক। তিনি বিভিন্ন সময় এই দুই নেত্রীর সমালোচনাও করেছেন তিনি। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক।
চস/স