spot_img

৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

দেশে গত পাঁচ বছরে ধর্ষণ মামলা হয় ২৬ হাজার ৬৯৫টি

গত পাঁচ বছরে সারাদেশের থানাগুলোয় ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে পুলিশ এই তথ্য জানিয়েছে। বুধবার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি দাখিল করা হয়।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল। এসময় রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও শাহীনুজ্জামান শাহীন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাদেশে ২০১৬ সালে চার হাজার ৩৩১টি, ২০১৭ সালে চার হাজার ৬৮৩টি, ২০১৮ সালে চার হাজার ৬৯৫টি, ২০১৯ সালে ছয় হাজার ৭৬৬টি ও ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ছয় হাজার ২২০টি মামলা ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরকে প্রধান করে তিন সদস্যর উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদার নিচে নয়) ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদ-মর্যাদার নিচে নয়)।

পরে আদালত এ মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৩ মে দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর ধর্ষণের অপরাধে সালিশ করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে মনিটরিং করতে নির্দেশ দেন আদালত। সে নির্দেশের ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের পরও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ১৮ অক্টোবর ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

রিটে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা রয়েছে তা কঠোরভাবে যেন পালন করা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়াও রিটে বিগত ১০ বছরে সারাদেশের থানাগুলোতে হওয়া ধর্ষণের মামলার তথ্য দাখিল জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss