রিয়াল মাদ্রিদ হীরা চিনতে ভুল করে না। বুরুশিয়া ডর্ট্মুন্ড থেকে বিশাল অঙ্কের ট্রান্সফার ফি দিয়ে জ্যুড বেলিংহ্যামকে দলে ভিড়িয়েছে গ্যালাক্টিকোরা। বেলিংহ্যামও মাদ্রিদিস্তাদের তার প্রতিদান দিচ্ছেন। অন্তত নতুন মৌসুমের প্রথম দুই ম্যাচ দেখে এমনটা ভাবতেই পারেন মাদ্রিদ সমর্থকরা। আগের ম্যাচে অ্যাতলেটিকো বিলবাও এই বিপক্ষে গোল পেয়েছেন। এবার দলের কামব্যাকে বড় ভূমিকা রেখেছেন।
মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার রাতে আলমেরিয়ার বিপক্ষে রিয়ালের জয় এসেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। ম্যাচে জোড়া গোলের পাশাপাশি এক অ্যাসিস্ট করেছেন বেলিংহ্যাম। অন্য গোলটি করেছেন রিয়ালের নতুন নাম্বার সেভেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। লস ব্লাঙ্কোসদের ঐতিহাসিক সাত নাম্বার জার্সিতে এটাই তার প্রথম গোল।
আন্দালুসিয়ান ক্লাব আলমেরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভাল হয়নি রিয়ালের। স্টেডিয়ামের সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ ঠিকঠাক কিছু বুঝে উঠবার আগেই গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লুকাস রবার্তোনি বাম প্রান্ত থেকে মাপা এক ক্রস ফেলেন রিয়ালের ডিবক্সে। দারুণ গতিতে ছুটে এসে তাতে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন আরিবাস। এক মৌসুম আগেই রিয়ালের জার্সি গায়ে খেলতে থাকা আরিবাস গোলের পর ক্ষমাও চেয়েছেন সফররত রিয়াল সমর্থকদের কাছে।
কিন্তু, রিয়াল মাদ্রিদের দর্শকদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতেই হয়নি। প্রথমার্ধেই তার ম্যাচে ফেরান জ্যুড বেলিংহ্যাম। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে সমতায় আসে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ সেসময় রিয়ালের কাছেই ছিল। টানা আক্রমণের সুবাদে ফ্রি কিক পেয়ে যায় তারা। টনি ক্রুসের ফ্রিকিকে হেড করেন ফেডে ভালভার্দে। বাধা পেয়ে বল আসে বেলিংহ্যামের কাছে। দুইবারের চেষ্টায় বল জালে জড়ান এই ইংলিশম্যান।
দুইদল টানেলে ফিরেছিল ১-১ গোলের সমতা নিয়েই। দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল গোল পায় ৬০ মিনিটের মাথায়। এবারো স্কোরশিটে সেই বেলিংহ্যাম। এবারো গোলের উৎস টনি ক্রুস। জার্মান মিডফিল্ডারের নিরীহদর্শন এক ফ্রিকিকে দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
৭৩ মিনিটে আলমেরিয়ার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন ভিনিসিয়ুস। দারুণ এক ফিনিশে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। এই ম্যাচের পর দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে স্বস্তিতেই আছে কার্লো অ্যানচেলত্তির শিষ্যরা। লস ব্লাঙ্কোসদের পরের ম্যাচ সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে।
চস/আজহার