লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফটের তারিখ পিছিয়েছে কয়েকবার। শেষ পর্যন্ত সোমবার যখন সেটি হলো, অনলাইন আয়োজনে দেখা গেল চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। ড্রাফটের নিয়ম-কানুন, ক্রিকেটার বাছাইয়ের পদ্ধতি, সবকিছু নিয়ে গোলমাল পাকাল বারবার। এসবের মধ্য দিয়েই শেষ হলো ড্রাফট। সেখানে দল পেলেন ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, শহিদ আফ্রিদি, ফাফ দু প্লেসিরা।
ড্রাফটে প্রতিটি দল দুজন করে বিদেশ ‘মার্কি’ ক্রিকেটার ও একজন করে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার নিতে পেরেছে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যাটেগরির ক্রিকেটাররা তো ছিলেনই।
ড্রাফটের নিয়ম নিয়ে অস্বচ্ছতা থাকায় ভুল বোঝাবুঝি হয়ছে বারবার। তাতে আয়োজন হারিয়েছে গতি। ভিডিও কলের সংযোগও কেটে গেছে অনেকবার। নিউ জিল্যান্ডের লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টলকে একটি দলে নেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগেই তিনি নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরকম অনেক অসঙ্গতি ছিল আয়োজন জুড়ে।
গল গ্ল্যাডিয়েটর্সের মেন্টর হিসেবে ড্রাফটে ছিলেন ওয়াসিম আকরাম, ক্যান্ডি টাস্কার্সের কোচ হিসেবে হাশান তিলকরত্নে, ডাম্বুলা হকসের প্রতিনিধি হিসেবে ইংলিশ কোচ জন লুইস। শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী কোচ ডেভ হোয়াটমোর কলম্বো কিংসকে কোচিং করাবেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
ড্রাফট থেকে দল পাওয়া বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আরও আছেন দাভিদ মালান, শোয়েব মালিক, উসমান খান শিনওয়ারি, পল স্টার্লিং, সামিত প্যাটেল, ডেভিড মিলার, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, আসিফ আলি, লিয়াম প্লাঙ্কেট, ওয়াহাব রিয়াজ, নাভিন-উল-হক, কলিন ইনগ্রাম, মোহাম্মদ আমির, হজরতউল্লাহ জাজাই, সরফরাজ আহমেদ ও আজম খান। এমনকি ভারতীয় ক্রিকেট থেকে বেশ আগে অবসরে যাওয়া মানবিন্দর বিসলা ও মানপ্রিত গনি আছেন একটি দলে।
৫ দলের এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা আগামী ২১ নভেম্বর। এই আসরের জন্য বিদেশি ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের কোয়ারেন্টিনের শর্তে কোনো ছাড় দেয়নি শ্রীলঙ্কান সরকার। বাংলাদেশ দলকে সফরের জন্য যেভাবে ১৪ দিন কঠোর কোয়ারেন্টিনের শর্ত দেওয়া হয়েছিল যে নিজের কক্ষ থেকে বের হওয়া যাবে না, এখানেও সেই শর্তই থাকছে। এলপিএলের বিদেশিরা এই শর্তে রাজি বলেই জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
চস/আজহার