নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলায় ঢাকা ৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছে আদালত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) শাখার মুন্সি কামরুল জানান, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার এজাহার এলে বিচারক মামলাটি ধানমণ্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হাসানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এছাড়া এ মামলায় ইরফান সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে একই আদালত।
এর আগে, সোমবার এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ইরফানের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদক ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহারের দায়ে ইরফান সেলিমের এক বছরের কারাদণ্ড দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম। এ সময় ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদুলকে ইসলামেরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত রোববার রাতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে এমপি হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে বেরিয়ে মারধর করা হয়। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওয়াসিফ।
আরো পড়ুন: হাজী সেলিমের দখলকৃত অগ্রণী ব্যাংকের জমি উদ্ধার
মামলার এজাহার অনুযায়ী, নৌকর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে কলাবাগানের দিকে যাচ্ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে স্টিকার লাগানো কালো রঙের ল্যান্ড রোভার গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-ঘ-১১-৫৭৩৬) পেছন থেকে তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়।
এরপর ওই কর্মকর্তা সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। কিন্তু গাড়ি থেকে আসামিরা বের হয়ে তাকে অপদস্থ ও কিল ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেন। পরে তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে তারা নিজেদের গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই গাড়ি ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল দুটোই ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যায়।
চস/স