রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ আছে। কিন্তু এই ফুটওভার ব্রিজ যতজন ব্যবহার করছেন ঠিক তারচেয়ে বেশি মানুষ ব্যস্ত সড়কের মাঝে রাস্তা পার হচ্ছেন।
বলছি নগরীরর কর্ণেলহাটের কথা। এই জায়গার আশে পাশে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। নিকট অতীতে প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই। তবুও কে শোনে কার কথা। রাস্তা পার হওয়ার জন্য ফুটওভার ব্রিজ যেমন আছে তেমনি নিচে রাস্তা পার হতে না পারার জন্য দেওয়া আছে উচু করে আইর্যান্ড। কিন্তু এত সবকিছুর পরও মানুষ এই আইল্যান্ডগুলো টপকে পার হচ্ছেন রাস্তা। শুধু তা-ই নয়, মোবাইলে কথা বলতে বলতে অনায়াসে রাস্তা পার হতে দেখা যায় অনেককে।
তাহলে এই ফুটওভার ব্রিজ কাদের জন্য! আমরা নিরাপদ সড়কের জন্য প্রায় আন্দোলন করি। সড়কে কারও মৃত্যু হলেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিরাপদ সড়ক নিয়ে মেতে উঠি। কিন্তু যারা নিজেরাই অসচেতন তাদের ঘুম ভাঙ্গাবে কে?
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, এ দুই সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এ ৮ মাসে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে ২ হাজার ৩৬১টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয় ২ হাজার ৯০৫ জন এবং আহত হয় ৫ হাজার ৮৭৯ জন। এর প্রতিটি দুর্ঘটনা চালকের দোষে নয়। অসচেতনতার কারণেই অনেকে এমন দুর্ঘটনা সৃষ্টি করেছে।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এসব নিয়ে কাজ করে থাকেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন করে থাকেন। কিন্তু কতক্ষণ এই সচেতনতা। প্রতিদিনই এমন চিত্র থাকে সড়কে। যতদিন এই অসচেতনতা থাকবে, ততদিন সড়কে প্রাণ হারাবে সাধারণ মানুষ।
চস/আজহার