spot_img

১৩ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার
২৭শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে ৩ অপহৃত উদ্ধার, ৪ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় অপহরণে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ১০টি বড় ধারালো কিরিচ, একটি ড্রেগার ও একটি চাকু এবং ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল- বাছির আহম্মদ রানা (২৭), মো. জিহাদ (২৪), মো. আরিফ (২৪), মো. ইমন প্রকাশ সাদ্দাম (২৩)।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৮টায় পূর্ব নাসিরাবাদের পলিটেকনিকেল মোড় ও শ্রমকল্যাণ কেন্দ্রের পেছনে বাগান থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর-দক্ষিণ)।

জানা গেছে, গতকাল রাত পৌনে ৮টায় নগরীর পাঁচলাইশের পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকার পলিটেকনিকেল মোড় ও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনে বাগানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অপহৃত তিনজনকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১০টি বড় ধারালো কিরিচ, একটি ড্রেগার ও একটি চাকু এবং ৫টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে সাত থেকে আটজন পালিয়ে যায়। অপহৃতদের হিলভিউ রোড থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণ করে প্রথমে হিলভিউ রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনের চতুর্থ তলায় পরে পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় পলিটেকনিকেল মোড় ও শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের পিছনে বাগান নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং ৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। গ্রেপ্তার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি সংক্রান্তে একাধিক মামলা রয়েছে।

চস/স

ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে অনেক স্বাধীনতা দিতে হবে এবং কিছু প্রস্তাব মানতে হবে। সামনে আমাদের একটা যুদ্ধের মাঠে নামতে হবে। ডিসেম্বরকে টার্গেট করে আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচনের কাজ শুরু করেছি। এ জন্য অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন কার্যালয় রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) আয়োজিত মত বিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, পার্লামেন্টের স্থায়ী কমিটির হাতে নির্বাচন কমিশনের কোনো কাজ গেলে ইসির স্বাধীনতা খর্ব হবে। স্থায়ী কমিটির কাছে নির্ভরশীল হতে চাই না। এ সংক্রান্ত সুপারিশ বাতিল করতে হবে। পার্লামেন্টারি স্টান্ডিং কমিটির মুখাপেক্ষী হলে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হবে। ভোটার হালনাগাদ এবং সীমানা নির্ধারণের জন্য ইসির বাইরে অন্য কারও হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে কুইক ফেস করা যায় না। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এখনই কোনো ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়নি। রুলস অফ গেমস কিভাবে হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাব এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে পাইনি। সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ঠিক করতে হবে। সুতরাং অনেক কিছুই আইনের কারণে আটকে আছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন , নির্বাচন কমিশন সব সময় স্বাধীন। আমাদের চেয়ে বেশি কেউ স্বাধীন নয়। তারপরেও একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে কিছু আইন সংশোধন করতে হবে।

এ এম নাসির উদ্দিন বলেন, অতীতে মে জুন মাসে, অর্থাৎ বর্ষাকালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, এমনটা আমি দেখি নাই। নির্বাচন কমিশনকে অন্তত দুই মাস আগে জানাতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন করতে হলে অক্টোবরেই সিডিউল ঘোষণা করতে হবে। আমি চাচ্ছি সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করতে। সেজন্য অন্তত কিছুদিন সময়ের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, নির্বাচন-সংক্রান্ত সংস্কার কমিশন থেকে অনেক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এগুলো সব বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ক্ষমতা খর্ব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা হয়। শতভাগ মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। জনগণ সচেতন হলে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে হানাহানি বিশৃঙ্খলা ও কাজ চুপে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী, আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এ জন্য অক্টোবরের মধ্যেই মাঠ পর্যায়ের সব কাজ শেষ করার চেষ্টা করব। আশা করি, এটা শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হলে অনেক স্বাধীনতা দিতে হবে এবং কিছু প্রস্তাব মানতে হবে।

চস/স

পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার সময় আবেদন নামঞ্জুর করে এ পরোয়ানা জারি করেন।

পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চস/স

শাহ আমানতে অবৈধভাবে আনা ৯৫টি মোবাইল সেট জব্দ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আনা ৯৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। জব্দ করা এসব মোবাইলে সেটের মূল্য ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) শারজাহ থেকে আসা বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে এসব মোবাইলের চালান জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সকাল ১০টা ৫মিনিটে শারজাহ থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৫২ ফ্লাইটে যৌথভাবে অভিযান পরিচালন করে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। এ সময় তারা যাত্রীবিহীন পরিত্যক্ত একটি ট্রলি ব্যাগ থেকে ৯৫টি মোবাইল ফোনের বড় চালান জব্দ করেন। উদ্ধার মোবাইলগুলোর মধ্যে ৪৯টি স্যামসাং ব্র্যান্ডের ফোন ও ৪৬টি নকিয়া ব্র্যান্ডের বাটন ফোন রয়েছে।

চস/স

টাইমস হায়ার এডুকেশন সাবজেক্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে মিডিয়া ও যোগাযোগ বিষয়ে দেশসেরা ড্যাফোডিল

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মিডিয়া ও যোগাযোগ বিষয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সদ্য প্রকাশিত টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড সাবজেক্ট র‍্যাংকিং ২০২৫-এ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

গবেষণা, শিক্ষা, শিল্প সংযোগ এবং আন্তর্জাতিকীকরণকে মূল্যায়ন করে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থান দেওয়া হয়, যেখানে মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিষয়ে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগ প্রথম স্থান অর্জন করে। প্রথমবারের মতো এই র‍্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মাসি, পাবলিক হেলথ, কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইন্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং, এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ অসাধারণ সাফল্যের মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।

২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। মাত্র ৬৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিভাগের পুনর্গঠনের যাত্রা শুরু হয়। বিভাগের হাল ধরেন খ্যাতিমান শিক্ষক প্রফেসর ড. গোলাম রহমান, যিনি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে একঝাঁক তরুণ শিক্ষক, নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষার্থী এবং বিভাগীয় সদস্যরা সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু করেন।

ছাত্রছাত্রীদের সহযোগিতায় এবং শিক্ষকদের অসামান্য পরিশ্রমে বিভাগটি ধীরে ধীরে এগিয়ে যায়। তরুণ প্রতিভাবান শিক্ষার্থী এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সমন্বয়ে বিভাগটি এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়।

বিভাগীয় প্রধান আফতাব হোসেন বলেন, “২০২৪ সালে টিম জেএমসি সাবজেক্ট র‍্যাংকিংয়ে আবেদন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে ২২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে টাইমস হায়ার এডুকেশন সাবজেক্ট র‍্যাংকিং-এর ফলাফল প্রকাশিত হয়, যেখানে সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিভাগে আমাদের বিভাগ দেশসেরার স্বীকৃতি অর্জন করে।”

বর্তমানে সাংবাদিকতা, মিডিয়া ও যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০০+ ছাড়িয়েছে এবং এটি এক ইতিহাস তৈরির পথে অগ্রসর হচ্ছে।

এই সাফল্য শুধুমাত্র ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নয় বরং বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের এই অর্জন ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্যের পথ খুলে দেবে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চস/আজহার

বয়ফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মি বয়ফ্রেন্ডকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে পুরান ঢাকার কাঠেরপুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি মেসে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম।

সাবরিনা রহমান শাম্মির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি যশোরের চৌগাছার নারায়ণপুরে।

পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের দাবি, ওই শিক্ষার্থী প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন। পরে পুলিশ গিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপালে নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সাবরিনার সহপাঠী আলী কাজী বলেন, আমরা ভোর চারটার দিকে জানতে পারি, শাম্মি আত্মহত্যা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা কাঠেরপুলে তার মেসে যাই। তখন বুয়েটে পড়াশোনা করা সাবরিনার বয়ফ্রেন্ডও এসেছিল। অনেক কান্নাকাটি করার পর চলে যায় সে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, মৃত্যুর খবর শুনার সঙ্গে সঙ্গে সকাল ৬টায় আমি মিডফোর্ড হাসপাতালে তাকে দেখতে যাই। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি প্রেমঘটিত কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। কারণ ফাঁস দেয়ার সময় প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছে এই শিক্ষার্থী। পুলিশ ইতোমধ্যে মোবাইল ফোন জব্দ করেছে।

সূত্রাপুর থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান শাম্মী কাঠের পুলের তনুগঞ্জ লেনের একটি ছাত্রী মেসে থাকতেন। ছাত্রী মেসের একটি রুমে একাই থাকতেন। পাশের রুমে অন্য ছাত্রীরা থাকতেন। আজ ভোর সাড়ে ৪টায় ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি। ময়না তদন্তের জন্য মরদের মির্ডফোড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

চস/স

চলে গেলেন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কে এম সফিউল্লাহ

মুক্তিযুদ্ধের ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, নব্বই-ঊর্ধ্ব সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন তার চলাফেরা চলে স্ট্রেচারে।

১৯৭১ সালে সফিউল্লাহ ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। তার নেতৃত্বেই ওই রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার।

পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্ম নেয়া কে এম সফিউল্লাহ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পরে মালয়েশিয়া, কানাডা, সুইডেন, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ১৯৯১ সালে দেশে ফিরে এলে তাকে এক বছর ওএসডি করে রাখা হয়। পরের বছর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে যান।

চস/স

চট্টগ্রামে ঐতিহাসিক তাফসির মাহফিল সফল করার আহবান

আগামী ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের এ বছরের তাফসিরুল কুরআন মাহফিল ঐতিহাসিক প্যারেড ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । ইতোমধ্যে মাহফিল সুষ্ঠুভাবে সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং সমাজসেবক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের লিখিত বক্তব্যে এই কথা জানান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, পরিষদের সহকারী সেক্রেটারি ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, তাফসিরুল কুরআন মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির প্রচার বিভাগীয় দায়িত্বশীল ও সাংবাদিক মুহাম্মদ উল্লাহ, ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সাংগঠনিক সেলিম উল্লাহ জামান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, এবারের তাফসির মাহফিলের প্রস্তুতি কাজ আরো আগে থেকে শুরু হয়েছে। এ উদ্দেশ্যে তাফসির এন্তেজামিয়া কমিটি ও ১৯টি সাব-কমিটি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার মেহেরবাণীতে প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আশা করছি মাহফিলে বিপুল শ্রোতার সমাবেশ ঘটবে। আমরা অনুভব করছি সেই তুলনায় মাঠটি যথেষ্ট নয়। তাই আমরা সমাবেশের সংকুলান ও শুনার সুবিধার্থে যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি তা আপনাদের মাধ্যমে আপনাদের বহুল প্রচারিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার দর্শক-শ্রোতা ও সাধারণ মানুষের অবগতির জন্য সংক্ষেপে কিছু তথ্য তুলে ধরেন।

১. প্যান্ডেল: প্যারেড মাঠের মূল প্যান্ডেলে এবার মহিলা প্যান্ডেল থাকবে না। মূল প্যান্ডেলে থাকবে সম্মানিত পুরুষ শ্রোতাদের বসার ব্যবস্থা, সম্মানিত মেহমান ও সাংবাদিক বন্ধুদের বসার বিশেষ ব্যবস্থা, সেনিটেশন ব্যবস্থা, দর্শক-শ্রোতাদের মৌলিক প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণের সহায়তায় প্রয়োজনীয় স্টল। স্বেচ্ছাসেবকগণ মাঠের নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবেন। সাথে থাকবেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।

২. মহিলা প্যান্ডেল: মাহফিলের সম্মানিত মহিলা শ্রোতাদের আসা যাওয়া বসা ও শুনার সহজ ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে এবার মূল মাঠের দক্ষিণে মহসিন কলেজের মাঠ, কাজেম আলী হাই স্কুল ও গুলজার বেগম হাই স্কুলে এবং মূল মাঠের উত্তরে কিশালয় কমিউনিটি সেন্টার ও কাপাসগোলা কলেজে মহিলা প্যান্ডেল থাকবে। এই সব প্যান্ডেলে মহিলাদের বসার, শুনার ও প্রয়োজনীয় যথাসম্ভব সেনিটেশন ব্যবস্থা থাকবে। নিয়ম শৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের সহায়তায় থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।

৩. মূল মাঠের চারপাশের এলাকায় অবস্থান ও শুনার ব্যবস্থা: প্যারেড মাঠের চতুর্দিকে দক্ষিণে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ মোড় ও জামালখান তথা চেরাগীপাহাড় মোড় পর্যন্ত, উত্তরে মেডিক্যাল কলেজ ও পাঁচলাইশ থানা মোড় পর্যন্ত। পূর্বে চকবাজার ধুনির পোল ও বাকলিয়া এক্সেস রোড় এর সুবিধাজনক অংশ পর্যন্ত এবং পশ্চিমে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেল পরবর্তী সি.জি.এস স্কুল মোড় পর্যন্ত। চারদিকের এ সব এলাকায় অবস্থিত মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মার্কেটগুলোর সদয় সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ সব এলাকায় যে সব শ্রোতা সমবেত হবেন তাদের শুনার ব্যবস্থা থাকবে। যথাসম্ভব এল.ই.ডি এর ব্যবস্থা থাকবে। যথাসম্ভব সেনিটেশন ব্যবস্থা মওজুদ রাখা হবে। শান্তি ও নিয়ম শৃঙ্খলা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা থাকবে। তাদের সহযোগিতার জন্য থাকবেন আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।

চস/স

‘গুজব ছড়িয়ে ইপিজেডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে’

দুর্বৃত্তরা মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব ছড়িয়ে শিল্পখাতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন সিএমপির উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) রইছ উদ্দিন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার শেলটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নির্মাণাধীন ভবনের গেইটের ভিতরে ৩ জন শিশু প্রবেশ করলে তাদের মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যার ফলে ২৩ জানুয়ারি বিকাল ও রাতে ইপিজেড থানাধীন বিভিন্ন কারখানার ২০০-২৫০ জন শ্রমিক সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের ঘর ও বিভিন্ন অফিস ভাঙচুরসহ সেখানে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

পরে পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি বলেন, যে ৩ জন শিশুকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হয়েছিল সেই শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। বর্তমানে তারা পুলিশের তত্ত্বাবধানে নিজ নিজ অভিভাবকের জিম্মায় আছে।

গুজবের বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কারখানার ওপর যাদের জীবিকা নির্বাহ হয়, সে শ্রমিকরা এসব করতে পারে না। দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল সুপরিকল্পিতভাবে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। এর সাথে বহিরাগতরাও যুক্ত হচ্ছে। দেশের পোশাকখাত অস্থিতিশীল হলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।

চস/স

চেয়ারম্যান-মেয়র পদে প্রার্থী হতে লাগবে স্নাতক ডিগ্রি

মেয়র (পৌরসভা-সিটি করপোরেশন) ও চেয়ারম্যান (ইউনিয়ন-উপজেলা-জেলা পরিষদ) পদে সরাসরি ভোট হবে না। এসব পদে যারা নির্বাচন করবেন, তাদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে গ্র্যাজুয়েট (স্নাতক) বা সমমান। নিরক্ষর বা স্বল্পশিক্ষিতরা নির্বাচন করতে পারবেন না। মতামত বিশ্লেষণ ও যাচাই-বাছাই করে এমন সুপারিশ চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মাঠ পর্যায়ে মতামত নেওয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শেষে এমন সিন্ধান্তে উপনিত হয়েছে কমিশন। এখন চলছে সংকলন কার্যক্রম। এর পর আরেক দফা যাচাই-বাছাই শেষে প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সংস্কার কমিশনের প্রধান স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘সারাদেশ থেকে সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, দল-পেশিশক্তি ও টাকা-পয়সার কারণে শিক্ষিত লোকজন জনপ্রতিনিধি হতে পারেন না। নিরক্ষর লোকদের দাপটে সজ্জন, গুণী ও শিক্ষিতরা নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নিরক্ষর লোক যেন জনপ্রতিনিধি হতে না পারেন, শিক্ষিতরা জনপ্রতিনিধি হতে আগ্রহী হন এবং বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন– এমনভাবে সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হবে। কিন্তু ভোটে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার কোনো মানদণ্ড সংবিধানে উল্লেখ নেই। ভোটে অংশগ্রহণে তাদের বাদ দেওয়ারও সুযোগ নেই। এ জন্য কৌশলী হতে হচ্ছে কমিশনকে।

জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের (মেম্বার) ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ভোটাররা। আর ইউপি সদস্যরা ভোট দিয়ে একজনকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন। চেয়ারম্যানকে অবশ্যই স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। তা না হলে তিনি চেয়ারম্যান হতে পারবেন না। একইভাবে ইউপি সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হবে। তাঁকেও স্নাতক ডিগ্রিধারী হতে হবে। একই পদ্ধতিতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় সরাসরি ভোটে মেয়র নির্বাচিত হতে পারবেন না।

আরও জানা গেছে, কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে মেয়র ও সভাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেয়রদের দায়িত্ব হবে সার্বক্ষণিক। ইউপি চেয়ারম্যানদের বেতন হবে উপজেলা পর্যায়ের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তার সমান। পৌরসভার মেয়রের বেতন হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমান। সিটি করপোরেশনের মেয়রের বেতন হবে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপরে। চেয়ারম্যান বা মেয়রদের কেউ স্নাতক ডিগ্রিধারীর নিচে হতে পারবেন না।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা ও জেলা পরিষদে প্রায় একইভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। ইউপি, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে একটি ছায়া পরিষদ থাকবে। তারা ইউপি সদস্য বা কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। তারা বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন সভাধ্যক্ষরা। সেখানে উন্নয়ন, পরিকল্পনা প্রণয়নসহ লেজিসলেটিভ (আইনি) অংশ দেখবেন।

আর চেয়ারম্যান-মেয়ররা নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রম তদারকি করবেন। স্থানীয় সরকারে উপদেষ্টা বা কোনো পদে থাকতে পারবেন না সংসদ সদস্যরা (এমপি)। সভায় উপস্থিত হয়ে শুধু মতামত দিতে পারবেন। কমিশন মনে করে, এমপিদের প্রভাবের কারণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না। তারা এমপিনির্ভর হয়ে পড়েছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় সরকারে জাতীয় সংসদের মতো স্থায়ী কমিটি থাকবে।

প্রতিটি উপজেলাকে তিন বা ততোধিক ওয়ার্ডে ভাগ করে স্থানীয় সরকারের সদস্যদের মধ্য থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। সদস্যদের কোনো নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে না। তারা পরিকল্পনা ও প্রকল্প প্রণয়ন করবেন।

চস/স