করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ওপর ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়টি নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।
তিনি বলেন, ট্যুরিস্ট ভিসার অনেক চাহিদা রয়েছে। মানুষ ভারতে যেতে চাচ্ছে, কিন্তু ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়টি দু-দেশের করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকাল পৌনে ৯টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ফ্লাইটের উদ্বোধনকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিক্রম কে দোরাইস্বামী বলেন, বর্তমানে প্রতিদিন হাজার খানেক ভিসার আবেদন পড়ছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ছে প্রতিদিন। সব স্টাফদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এয়ার বাবল ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ ভারতে যাতায়াত করতে পারেন। পর্যটক ছাড়া সব ভিসা খোলা রয়েছে। বাংলাদেশিরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণসহ নানা কাজে ভারত ভ্রমণ করতে পারেন।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস এম মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ফ্লাইট চালু হলো। ভারতই প্রথমে আমাদের এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ফ্লাইট চালুর আমন্ত্রণ জানায়। তারপরই আমরা কাজ শুরু করি। তিনি প্রথম দিনই ভারতে ফ্লাইট চালু করায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে ধন্যবাদ জানান।
বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। এ চুক্তির অধীনে করোনাকালীন সময়ে বন্ধ হওয়া ফ্লাইট চালু হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন ধারা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের আকাশ খুলে দেওয়ায় আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, যারা ভারতে যাচ্ছে, তারা যাতে নিরাপদে থাকতে পারে, তাই নীতিমালা যাত্রী বান্ধব। যাত্রীরা ভারতে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশে এয়ার বাবল চুক্তি চালুর কোনো পরিকল্পনা নেই।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এয়ার বাবল চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সপ্তাহে ৫৬টি ফ্লাইট চলবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তিনটি এয়ারলাইন্স ভারতে সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। আর ভারত থেকে পাঁচটি এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট বাংলাদেশে পরিচালনা করবে। সপ্তাহে পাঁচ হাজার বাংলাদেশি ভারত যাওয়ার সুযোগ পাবেন। একই ভাবে সমান সংখ্যক যাত্রী ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভোএয়ার ভারতে যাতায়াত করবে। আর ভারত থেকে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা ও গোএয়ার যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশে আসবে।
করোনা মহামারি দেখা দিলে গত ১২ মার্চ থেকে আান্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় ভারত। সম্প্রতি পর্যটন ছাড়া নয়টি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের অনলাইন ভিসা দেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটি।
চস/আজহার