দলের সঙ্গে নেই নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা। তাছাড়া ম্যাচের আগেই ছিটকে গেছেন পেসার মোহাম্মদ শামি, আর ম্যাচ চলাকালীন ইনজুরিতে পড়লেন উমেশ যাদবও। এর সঙ্গে আবার প্রথম ম্যাচে ৩৬ রানে অলআউট এবং ম্যাচ হারার দুঃসহ স্মৃতিতো আছেই।
সবমিলিয়ে বলাযায় একবারে কোণঠাসা অবস্থার মাঝেই মেলবোর্নে খেলতে নেমেছিলো ভারত। বক্সিং ডে টেস্টে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব সামলান অজিঙ্কা রাহানে। তার নেতৃত্বে অসাধারণ দক্ষতার পরিচয়ও পাওয়া গেলো। ঘুরেও দাঁড়িয়েছে সফরকারীরা। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই তারা হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে।
ম্যাচটিতে টস হেরে আগেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ভারত। তবে বোলারদের নৈপুণ্যে তারা অসিদের অলআউট করে দেয় ১৯৫ রানে। জবাবে অধিনায়ক রাহানের সেঞ্চুরি (১১২) ও রবীন্দ্র জাদেজার ফিফটিতে (৫৭) ভর ভারত করে ৩২৬ রান, পেয়ে যায় ১৩১ রানের লিড। যা গড়ে দেয় সহজ জয়ের ভিত।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার উন্নতি হয় মাত্র ৫ রান। এবার তাদের দলীয় সংগ্রহ গিয়ে পৌঁছায় পাক্কা ২০০ রানে। চলতি সিরিজে এটিই তাদের প্রথম দুইশ রানের দলীয় সংগ্রহ। তবে এতে তেমন বিশেষ কোনও ফায়দা হয়নি। ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭০ রানের। যা কি না ১৫.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে তাড়া করে ফেলেছে ভারত।
ছোট লক্ষ্যে শুরু থেকেই ইতিবাচক খেলতে থাকেন অভিষিক্ত ওপেনার শুবমান গিল। মিচেল স্টার্কের আগুনে বোলিংয়ের সামনে সাহসী ব্যাটিং করেন এ তরুণ ওপেনার। তবে হতাশ করেন আরেক ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৫) ও চেতেশ্বর পুজারা (৩)। ফলে মাত্র ১৯ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা।
তবে স্বাগতিকদের চেপে বসতে দেননি শুবমান ও অধিনায়ক রাহানে। দুজন মিলে গড়েন ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই করে ফেলেন জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৭০ রান। শুভমান ৩৬ বলে ৩৫ ও রাহানে ৪০ বলে ২৭ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন রাহানে।
চস/এএম