প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের মাটিতে হাঁটার বিরল অভিজ্ঞতা শেষে পৃথিবীতে ফেরার এক সপ্তাহ পর ছিল নীল আর্মস্ট্রং-এর জন্মদিন। কিন্তু দিনটি জমকালো আয়োজনে পালনের সুযোগ পাননি, কারণ তখন ছিলেন কোয়ারেন্টাইনে!
করোনার প্রেক্ষাপটে কোয়ারেন্টাইন আমাদের কাছে অতিপরিচিত। এক বছর ধরে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বাধ্য হয়েছে বা এখনো হচ্ছে বিচ্ছিন্ন বাসে। কিন্তু ১৯৬৯ সালে কেন দরকার পড়েছিল কোয়ারেন্টাইন?
শুধু আর্মস্ট্রং নয়, তার দুই সতীর্থ মাইকেল কলিন্স ও এডউইন বাজ অলড্রিনও ২১ দিন কোয়ারেন্টাইন পালন করেন।
এর কারণ অবশ্য কল্পনাতীত কিছু নয়। নভোচারীরা চন্দ্র পৃষ্টের সংস্পর্শে আসায় এমন নিভৃত বাসে যেতে হয়েছে।
এ সতর্কতাকে দুই ভাগে দেখা যেতে পারে। প্রথমত, নভোচারীরা ক্ষতিকারক কোনো ব্যাকটেরিয়া বা অজানা কিছুর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন এমন আশঙ্কা থেকে আলাদা থাকতে হয়েছে। এটাই ছিল মানুষের প্রথম অভিযান যেখানে তারা পৃথিবীর বাইরের মাটি ও আবহাওয়ার সংস্পর্শে এসেছে। তাই চিকিৎসকেরা নিবিড়ভাবে তাদের পর্যবেক্ষণ করেছে। অন্য একটি দল পরীক্ষা করেছেন চাঁদ থেকে নিয়ে আসা পাথর ও ধুলো।
কোয়ারেন্টাইনের দ্বিতীয় কারণ আরও চমকপ্রদ। চাঁদের নমুনার মাধ্যমে যদি কোনো সম্ভাব্য প্রাণ পৃথিবীতে নিয়ে আসা হয়, তাদের রক্ষা করাই ছিল উদ্দেশ্য।
১৯৬৯ সালের ২১ জুলাই ইগল লুনার ল্যান্ডারের হ্যাচ বন্ধ হওয়ার পর ২১ দিনের এই কোয়ারেন্টাইন শুরু হয়। এর তিন দিনের মাথায় তারা পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
চস/আজহার