spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

ইউরো কাপ ২০২০

ফুটবলের রোমাঞ্চকর রাতে সুইসদের কাছে হেরে ফ্রান্সের বিদায়

ফুটবলীয় রোমাঞ্চের সব রঙ যেন ধরা দিল এক রাতে। স্পেন-ক্রোয়েশিয়ার আট গোলের উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচের রেশ না কাটতেই আরেক শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের জন্ম দিল ফ্রান্স ও সুইজারল্যান্ড। প্রথমার্ধে বিবর্ণ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা জেগে উঠল বিরতির পর। ম্যাচ নিল হাতের মুঠোয়। কিন্তু, শেষের ১০ মিনিটে আবারও পাল্টে গেল গতিপথ। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে জয়ের উল্লাসে মেতে উঠল সুইজারল্যান্ড। উঠল কোয়ার্টার-ফাইনালে।

রুমানিয়ার বুখোরেস্টে সোমবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে পেনাল্টি শুট আউটে ৫-৪ এ জিতেছে সুইজারল্যান্ড। নির্ধারিত সময় ৩-৩ এর পর অতিরিক্ত সময়ও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয়।

গ্রুপের শেষ রাউন্ডে পর্তুগালের বিপক্ষে জোড়া গোল করা বেনজেমা ষষ্ঠ মিনিটেই দলকে এগিয়ে নিতে পারতেন। বাঁ দিক থেকে গ্রিজমানের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে খুঁজে পায় তাকে; কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা।

সাবেক ইউরো চ্যাম্পিয়নদের হতবাক করে প্রথম আক্রমণেই এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। পঞ্চদশ মিনিটে বাঁ থেকে স্টিভেন জুবেরের দারুণ ক্রস ডি-বক্সে পেয়ে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান সেফেরোভিচ। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার ক্লেঁমো লংলে প্রতিহত করার কোনো চেষ্টাই করেননি।

গ্রুপের শেষ রাউন্ডে তুরস্কের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়েও একটি গোল করেছিলেন বেনফিকার ফরোয়ার্ড সেফেরোভিচ।

প্রথমার্ধে ফ্রান্সের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। বল দখলে কিছুটা এগিয়েও ছিল বটে, আক্রমণও করেছে; তবে গোলের উদ্দেশে নেওয়া তাদের ছয় শটের একটিও ছিল না লক্ষ্যে।

প্রথম ৪৫ মিনিটে ফ্রান্সের আক্রমণভাগের একমাত্র উজ্জ্বল নাম গ্রিজমান। ৪৭তম মিনিটে অনেক দূর থেকে তার নেওয়া শট পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়।

পাঁচ মিনিট পর ডি-বক্সের লাইনে জুবেরকে ডিফেন্ডার বাঁজামাঁ পাভার্দ ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ফরাসিদের ওপর চাপ বাড়ানোর সুবর্ন সুযোগটা নষ্ট করেন রিকার্দো রদ্রিগেস; তার দুর্বল স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন উগো লরিস।

এরপরই জেগে ওঠে ফ্রান্সের আক্রমণভাগ। দুই মিনিটে বেনজেমার দুই গোলে এগিয়ে যায় গতবারের রানার্সআপরা।

৫৭তম মিনিটে এমবাপের ডি-বক্সের মুখে বাড়ানো বল সামনে ঝুঁকে থাকা বেনজেমার পেছনে ছিল। অসাধারণ দক্ষতায় বাঁ পায়ের ফ্লিকে বল সামনে টেনে নেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা, আর দ্বিতীয় টোকায় খুঁজে নেন ঠিকানা।

স্পট কিক মিসের মুহূর্ত বাদেই গোল হজম-স্তম্ভিত সুইসরা গুছিযে ওঠার আগেই আবারও তাদের জালে বল। গোলটিতে জড়িয়ে ফরাসি আক্রমণত্রয়ীর সবাই; এমবাপের ব্যাকহিলে বল ধরে গ্রিজমান দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান আর লাফিয়ে একেবারে কাছ থেকে হেডে বাকি কাজ সারেন এমবাপে।

পাঁচ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে আগের ম্যাচে পান প্রথম জালের দেখা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন দুটি করে গোল।

৭৫তম মিনিটে অনেক দূর থেকে স্কোরলাইন ৩-১ করেন পগবা। তার জোরালো শটে বল ক্রসবার ঘেঁষে জালে জড়ায়। ইউরোর ইতিহাসে পিছিয়ে বিরতিতে গিয়েও সবচেয়ে বেশি জয়ের দেখা পাওয়া দল ফ্রান্স, চারটি। সংখ্যাটা বাড়ার পথেই ছিল। কিন্তু

৮১তম মিনিটে কেভিনের দারুণ ক্রসে আবারও হেডে ব্যবধান কমান সেফেরোভিচ। আর নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-৩ করেন মারিও গাভরানোভিচ।

চার মিনিট যোগ করা সময়ের শেষ ৩০ সেকেন্ডে দুই দলই পেয়েছিল জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু পারেনি কেউ। ওয়ান-অন-ওয়ানে সুইসদের প্রচেষ্টা রুখে দেন লরিস আর কিংসলে কোমানের শট লাগে ক্রসবারে।

১১০তম মিনিটে দলকে আবারও এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান এমবাপে। কিন্তু ডি-বক্সে দারুণ পজিশনে বল পেয়েও পাশের জালে মারেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। পুরো টুর্নামেন্টে এটাই হয়ে উঠেছে তার চেনা রূপ। খানিক পর হতাশ করেন বেনজেমার বদলি অলিভিয়ে জিরুদ। শেষের আগের মিনিটে চেলসি ফরোয়ার্ডের হেড ঠেকিয়ে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিলেন ম্যাচ টাইব্রেকারে নিলেন ইয়ান সমের।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss