মাদক মামলায় পুলিশের রিমান্ডে থাকা চিত্রনায়িকা পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। শনিবার (৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর।
পরীমণিকে আটকের চারদিনের মাথায় এ বিষয়ে অনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিল্পী সমিতি থেকে পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
সমিতির নেতারা মনে করছেন, পরীমণি সমিতির সংবিধান পরিপন্থী কাজ করেছেন। তার কার্যকলাপে সমিতির সম্মানক্ষুণ্ন হয়েছে।
জানা গেছে, সমিতির গঠনতন্ত্রের ৬-এর ‘খ’ ও ৯-এর ‘গ’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সমিতির কোনো সদস্য যদি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে কোনো কাজে লিপ্ত হয় সঙ্গে সঙ্গে তার সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত হবে। তবে আদালতে যদি প্রমাণ হয় তিনি নির্দোষ, তাহলে ফিরে পাবেন পদ। আর যদি দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আজীবনের জন্য সমিতির সদস্যপদ হারাবেন।
এদিকে পরীমণির বিষয়ে এক সাক্ষাৎকারে শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেছিলেন, শিল্পী সমিতি সবসময় শিল্পীদের পাশে থাকবে। এটা ব্যক্তিগত সমিতি না, শিল্পী সমিতি। সভাপতি হিসেবে শিল্পী সমিতির সংবিধান আমাকে সম্মানিত রাখতে হবে। সংবিধান যা বলবে তাই হবে। এ নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। সংবিধান পাশ কাটিয়ে যেতে পারব না।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) ডিবি কার্যালয়ে পরীমণি প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেছিলেন, শিল্পী সমিতি তৈরি হয়েছিল শিল্পীদের স্বার্থ আর সম্মান রক্ষার জন্য। শিল্পীর ভালো কাজে সমিতি পাশে থাকবে। খারাপ কাজে কেন থাকবে? সমিতি কোনো খারাপ কাজের সমর্থন দিতে পারে না। পরীমণির বিষয়টি বিচারাধীন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা হয়েছে তাই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতি ব্যবস্থা নিতে পারবে। আমরা ভালোকে ভালো বলব, খারাপকে খারাপ বলব।
গত ৪ আগস্ট পরীমণির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে সেখানে অভিযান শেষে নায়িকাকে আটক করা হয়। অভিযানে তার বাসা থেকে মাদক উদ্ধার করে র্যাব। তার দেওয়া বিভিন্ন তথ্য নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বনানীর নিজ বাসা থেকে মাদকসহ চিত্রনায়িকা পরীমণিকে আটকের পর নড়েচড়ে বসেছে ফিল্মপাড়া। বিষয়টি নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা।
চস/আজহার


