রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্যসহ ২০ দফা দাবিতে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা ফুঁসে উঠেছেন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস ও সামনের সড়কে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট ফোরাম।
সমাবেশে ফোরামের মুখপাত্র বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছাড়া কিছুই নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমরা নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি । কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। এখন আমাদের প্রথম দাবি- রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি চাই। আমাদের যদি কারো সাথে কথা বলতে হয়, তবে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত ভিসির সাথেই কথা বলব।
ফোরামের অন্যতম মুখপাত্র হোসাইন মুরাদ প্রিন্স বলেন, আমাদের ক্যাম্পাস নেই, উপাচার্য নেই। পাস করে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না প্রত্যয়নপত্র। এ নিয়ে অনেক আলোচনা করেছি সংশ্লিষ্টদের সাথে। আমরা আর কথা বলতে চাই না। আমরা আর মিথ্যা আশ্বাস শুনতে চাই না। আমরা কার্যকরী কিছু দেখতে চাই।
তাদের দাবিগুলো হলো রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ, স্থায়ী ক্যাম্পাস, উন্নত ক্লাসরুম, যোগ্যতাসম্পন্ন রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ডিন, পর্যাপ্ত মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, স্বয়ংসম্পূর্ণ লাইব্রেরি ও কার্যকর ওয়েবসাইট, হিসাবরক্ষণ বিভাগকে পুনর্বিন্যাস, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেমিস্টার সম্পন্ন করা, জরিমানা ও সেমিস্টার ফি’র জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন, ট্রাস্টি বোর্ড ও প্রশাসনের গোলযোগ থেকে শিক্ষা কার্যক্রমকে মুক্ত রাখা, নিরপেক্ষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিশ্চিতকরণ, সুগঠিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার, কমন রুম-ল্যাব সুবিধা নিশ্চিতকরণ, জাতীয় দিবস, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষা সফর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট এবং কর্মশালার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অর্থায়ন, প্রতিষ্ঠিত এবং সক্রিয় ক্লাবসমূহকে প্রণোদনা ও অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, ক্যান্টিন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, মানসম্মত শৌচাগার, বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ বন্ধ, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের রুমে অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
চস/আজহার