spot_img

১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার
১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় প্রতিপক্ষের ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিকুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

পরে এ ঘটনায় রক্তিম ও শুভ নামের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। দু’জনই ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শনিবার রাতে চমেকের সামনে থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তৌফিকুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ১৬ জনকে আসামি করা হয়।’

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার দিকে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে শনিবার সকালে আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।

বিবাদমান দুটি পক্ষের একপক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্য পক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নওফেলের অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় নাছিরের অনুসারী পক্ষের চমেকের ৬১ ব্যাচের মাহফুজুল হক ও ৬২ ব্যাচের নাইমুল ইসলাম আহত হন।

ওই ঘটনার জেরে শনিবার সকাল ৯টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী আকবর হোসেনকে মারধর করে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। এরপর দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়ে নাছিরের অনুসারীরা। দুপুর ১টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশ পাহারায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে।

এ ঘটনায় বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সন্ধ্যার মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে যেতে ছাত্রদের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী সন্ধ্যায় আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে যান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss