spot_img

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শনিবার
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কাপ্তাই সড়কে মৃত্যুমিছিল, থামাতে দ্রুত লেন বৃদ্ধি

মানুষের জীবন বলতে কেবল একজন মানুষের একক জীবন বোঝায় নাহ! এর সাথে জড়িয়ে থাকে আরো অনেক মানুষের জীবন। তাই তো একটি জীবন বিচ্ছিন্ন হলে অন্য জীবনেও দুঃসহ যন্ত্রণার আঁধার নেমে আসে। তবে চিরসত্য মরণকে অস্বীকার করা যায় না। মরণ তো আসবেই, তবে এভাবে কেন? স্বাভাবিক মৃত্যুর বেদনা যেখানে সহ্য করা যায় না, সেখানে মানবসৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার মৃত্যুও কি মানা যায়? গত সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে বেপরোয়া শাহ আমানত পরিবহনের বাস একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে প্রাণ যায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর দুইজন মেধাবী শিক্ষার্থীর। চুয়েট পরিবারে নেমে আসে এক আবেগঘণ পরিবেশ। এবারই প্রথম নয় চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে এর আগেও প্রাণ হারিয়েছে চুয়েট এর শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত মাসের ২১ মার্চ চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী আপন ক্লাবের সামনে পিকআপের ধাক্কায় নিহত হন অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান (৩৪)। আহত হন আরো তিন শিক্ষার্থী। এভাবে চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কে ২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন ১৫ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।

এগুলোকে দুর্ঘটনা বলা হবে কি না, তা এখন ভাবার সময় এসেছে। দুর্ঘটনা বললে দৈব বা প্রকৃতির ওপর দায় চাপানো হয়ে যায়। আসলে দুর্ঘটনা ঘটার সব উপকরণই এ সড়কে এখন নিয়মিত বিদ্যমান। তাই এটাকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক চার লেন এ উন্নীত করা ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ছিল দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু কেনো এই দাবি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি???

একটা দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না” প্রবাদবাক্যটির গভীরতা অনেক গভীরে প্রোথিত। কথায় আছে- “যে হারায়, সে-ই বোঝে”। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একটা সন্তান তাঁর পুরো পরিবারের কাছেই একেকটা স্বপ্নের বুনন। মা-বাবার বুকবাঁধা আশার পাদপ্রদীপ। আমাদের দেশে প্রতিটা দিন, হ্যাঁ প্রতিটা দিনই কোনো না কোনো দুর্ঘটনায় আমাদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধু-পরিজন অকালে চিরবিদায় নিচ্ছে। এই অকালে প্রিয়জন হারানো; এই ব্যথা দূর থেকে আমি-আপনি হয়তো পুরোপুরি বুঝতে সক্ষম হবো না কিন্তু যে বা যার পরিবার আপনজন হারায়, তাঁরাই বুঝতে পারে তাঁদের ক্ষতটা কতখানি; কী হারিয়েছেন তাঁরা।

উত্তর চট্টগ্রামের সবচেয়ে ব্যস্ততম যোগাযোগ মাধ্যম হল চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়ক। কিন্তু নানা কারণে ব্যস্ততম এই সড়ক বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠছে। সড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা, বাড়তি গাড়ির চাপ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অদক্ষ চালক ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটারে অন্তত ৪০টি বাঁক সড়কটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিশৃঙ্খল সড়কে পরিণত করেছে। এতে নিত্য ঘটছে দুর্ঘটনা, ব্যাপক যানজটে প্রতিনিয়ত কষ্ট পাচ্ছেন যাত্রীরা।

লেখক
সহকারী অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, চুয়েট।

চস/আজহার

রিমান্ড শেষে কারাগারে কেএনএফের ১০ আসামি

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আটক কেএনএফ আসামিদের মধ্যে আরও ১০ জনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে ২ দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হকের আদালতে নেয়া হলে শুনানি শেষে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আসামিরা হলেন, ভানলাল কিম বম (৩০), সাইরাজ বম (২৫), রুয়াল কমলিয়ান বম (৫৫), গিলবার্ট বম (১৯), তিয়াম বম (৪৪), লিয়ান নোয়াই থাং বম (২০) নল থন বম (৫৫), পেনাল বম (৬৫), লাল মুন লিয়ান বম (২৮) ও জাসোয়া বম (৪৫)। তারা সকলেই রুমার বেথেল পাড়ার বাসিন্দা।

আদালতে সূত্র জানা যায়, রুমা ও থানচি দুই উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতির এবং অস্ত্র লুটপাটের ঘটনায় ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে আদালতের হাজির করা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই দিনের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। দুইদিন রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে কেএনএফের সদস্য ১০ জনকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয় আদালত।

এদিকে কেএনএফের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২২ জন নারীসহ ৭৮ জনকে রুমা ও থানচির ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় করা ৯টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুইদিন রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে ১০ জন কেএনএফ সদস্যকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেয় আদালত।

চস/স

‘চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশনের কেউ নন’

রাজধানীর তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করা চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কেউ নন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশেনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বায়ুদূষণ রোধ ও তীব্র দাবদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে ডিএনসিসির ওয়াটার স্প্রে (পানি ছিটানো) কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, চিফ হিট অফিসার সিটি করপোরেশন থেকে একটি টাকাও পান না। সিটি করপোরেশনে তার কোনও বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনও চেয়ারও নেই।

চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন যাবত চিফ হিট অফিসারকে নিয়ে অনেকে বলছেন সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। হিট অফিসার নিয়োগ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি কোম্পানি অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক) থেকে। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে। চিফ হিট অফিসার আমাদের পরামর্শ দেবে কিন্তু সরাসরি কাজ করবে না।

মেয়র আতিক বলেন, তারা বিশ্বের ৭টি দেশে নারী হিট অফিসার নিয়োগ করেছেন। আমি তাদের বলেছিলাম নারী কেন নিয়োগ করেছে, তারা বলেছে, নারীরা গরমের অনুভবটা বেশি করতে পারে। এ জন্যই তারা নারী হিট অফিসারদের নিয়োগ করেছে।

চস/স

জুয়া খেলার কারণে মামার বকা, লোহাগাড়ায় যুবকের ‘আত্মহত্যা’

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে পিপুল দে (২৭) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। নিহত পিপলু দে চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চনগর এলাকার জগদিশ দে’র ছেলে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বটতলী মোটরস্টেশনের ডা. মাহমুদুর রহমানের ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের মামা নিখিল দে জানান, তার ভাগিনা কিছুদিন ধরে অনলাইন জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। গতকাল রাতে এ বিষয়ে পিপুল দে’কে জুয়া খেলা থেকে বিরত থাকতে বলেন এবং বকাঝকা করেন। প্রতিদিনের ন্যায় তার ভাগিনা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম থেকে না উঠলে তাকে অনেকবার ফোন দেয় তার স্বজনেরা। এক পর্যায়ে নিহতের মামা বাসায় গিয়ে দেখতে পান বাসা তালাবদ্ধ। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের বাবা জগদিশ দে জানান, তার ছেলের সাথে মামা থাকেন। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চস/স

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল : হামাস

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস, তাতে সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল।

শনিবার গোষ্ঠীর মুখপাত্র খলিল আল হায়া কাতার থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিবৃতিতে খলিল আল হায়া বলেন, ‘গত ১৩ এপ্রিল মিসর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে (যুদ্ধবিরতির) যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দিয়েছে ইহুদি দখলদার শক্তি।’

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারের গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে হত্যা করে হামাস। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গত ছয় মাস ধরে চলমান সেই অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশই শিশু, নারী ও বেসামরিক লোকজন।

কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা-দূতিয়ালিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস-আইডিএফ। সেই বিরতির সময় নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে ১০৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১৫০ জনকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিল ইসরায়েলও।

ওই বিরতি শেষ হওয়ার পর গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য কাজ করছিল মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ। চলতি বছর রমজান মাস থেকে তা শুরু হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মূলত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।

ফলে হামাসের কব্জায় থাকা বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্য কী ঘটেছে— এখনও অজানা।

কাতার এবং মিসরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তির জন্য প্রথম দফা বিরতির পর ২য় বার যুদ্ধবিরতির জন্য একাধিক বার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে। কিন্তু প্রতিটি প্রস্তাবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এবং এই দাবির কারণে সেসব প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েল।

দুই পক্ষের মতানৈক্যের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসন এবং জিম্মিদের মুক্তির পথ তৈরি করতে বৃহস্পতিবার ইসরায়েল সফরে যায় মিসরের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল। এদিকে, ওই দিনই হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য গোষ্ঠীটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ১৭টি দেশ।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা গত ১২ বছর ধরে কাতারে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। সম্প্রতি কাতার ইঙ্গিত দিয়েছে, যদি গাজায় যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকা ইতিবাচক না হয়— তাহলে কাতার ছাড়তে হবে গোষ্ঠীটির নেতাদের।

বৃহস্পতিবার ১৭টি দেশের চিঠি প্রসঙ্গে প্রাথমিক এক প্রতিক্রিয়ায় হামাস নেতারা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক চাপের কাছে তারা মাথা নত করবেন না। তবে কয়ে ঘণ্টা পরই তারা ফের বলেন, ‘ফিলিস্তিনের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ যে কোনো প্রস্তাবকে হামাস স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’

মিসরের প্রতিনিধিদলের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ১৩ এপ্রিল পাঠানো প্রস্তাবে ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দিতে সম্মতি জানিয়েছে হামাস। সূত্র : রয়টার্স

চস/আজহার

কক্সবাজারে ‌‘হিটস্ট্রোকে’ পর্যটকের মৃত্যু

তীব্র গরমের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে মোবাইলে কথা বলতে বলতে মতিউর রহমান (৪০) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা- তীব্র গরমে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টায় কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

লাইফগার্ড কর্মী উসমান জানান, সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে হাঁটছিলেন মতিউর রহমান। হঠাৎ তিনি ফোনে কথা বলতে বলতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান লাইফগার্ড মো. হোসেন ও উজ্জ্বল।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে মতিউর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামীন হোসেন জানান, নিহত পর্যটকের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং এলাকায়। তিনি ঢাকায় থাকতেন। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানরা লাশ গ্রহণের জন্য কক্সবাজারে আসছেন। বর্তমানে মরদেহটি সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

 

 

চস/আজহার

রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে সব প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন এ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোতে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোর ১ম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তাপপ্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মাসুদ আকতার খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন- প্রাথমিক স্কুল ‌খোলা-বন্ধের ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনুসরণ করা হয়। মাধ্যমিক স্কুল যেহেতু খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাই প্রাথমিক স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে জানানো হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২৮ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শনিবারেও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

চস/আজহার

রামপালে ট্রাকচাপায় ৩ জনের মৃত্যু

বাগেরহাটের রামপালে ট্রাক ও যাত্রীবাহী ভ্যানের সংঘর্ষে ভ্যানচালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের চেয়ারম্যানের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মো. সাইদ মোড়ল (৪৫), মো. আজাদ (৩৫) ও ভ্যানচালক মো. মনি (৪৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৌমেন দাস।

তিনি বলেন, ‘বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। ফলে ভ্যানের যাত্রী মো. সাইদ মোড়ল (৪৫) ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। অপর যাত্রী মো. আজাদ (৩৫) ও ভ্যান চালক মো. মনি (৪৫) গুরুত্বর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

রামপাল ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. মশিউর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ঘাতক চালক ও ট্রাকটি আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

চস/স

আততায়ীর গুলিতে ইরাকি তারকার মৃত্যু

ইরাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রভাবশালী টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানী বাগদাদের পূর্ব জায়েন এলাকায় তার বাড়ির বাইরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত ওম ফাহাদ নামে একজন নারী অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। ওম ফাহাদের আসল নাম গুফরান সাওয়াদি। তিনি জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে পপ মিউজিকের সঙ্গে নিচের নাচের ভিডিও শেয়ার করতেন। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারী রয়েছে। তার মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি ‘বিশেষ তদন্ত দল’ গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাওয়াদি বাইরে যাওয়ার জন্য তার গাড়িতে চড়ে বসেছিলেন। এ সময় খাবার ডেলিভারির বেশধারী মোটরবাইকে আসা এক ব্যক্তি গাড়ির ভেতরে বসা সাওয়াদিকে গুলি করে। হামলায় সাওয়াদির সঙ্গে থাকা আরেক নারী আহত হয়েছেন।

একটি ইরাকি নিরাপত্তা সূত্র বলছে, হামলাকারী খাবার সরবরাহ করার ভান ধরেই সাওয়াদিকে হত্যা করতে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ খ্যাত সাওয়াদির ভিডিওর হাজার হাজার ভক্ত থাকলেও অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। শুধু তাই নয়, গত বছর বাগদাদের এক আদালত ভিডিওর নামে পোশাকের ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতা’ ক্ষুণ্ন করার অপরাধে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল।

ইরাক সরকার আপত্তিকর বলে বিবেচিত বিষয়বস্তুর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো পর্যবেক্ষণ এবং দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটিই ওম ফাহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিল।

এদিকে ওম ফাহাদের সঙ্গে আরেক টিকটক তারকা ডালিয়া নাঈমের মধ্যে সম্প্রতি স্নায়ু দ্বন্দ্ব বেড়েছিল বলে জানা গেছে। ডালিয়া প্লাস্টিক সার্জারির কারণে ‘ইরাকি বার্বি’ নামে পরিচিত।

চস/স

গাজা নীতির বিরোধীতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার পদত্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আরবি ভাষার মুখপাত্র হালা রাহারিত দেশটির গাজা নীতির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

একইদিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিঙ্কডইনে এক পোস্টে এ তথ্য নিজেই নিশ্চিত করেছেন রাহারিত। ফিলিস্তিনের গাজায় অবরুদ্ধ ইসরায়েলের হামলায় ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে আসছিলেন তিনি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

লিঙ্কডইন পোস্টে হালা রাহারিত বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মানজনক পদে ১৮ বছর চাকরি করার পর ২০২৪ সালের এপ্রিলে আমি পদত্যাগ করেছি। গাজা ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতিই এর কারণ।’

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, একসময় মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা দুবাই রিজিওনাল মিডিয়া হাবের উপপরিচালক ছিলেন হালা রাহারিত। আরব বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে সংস্থাটি। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার কর্মকর্তা এবং আরবি ভাষার মুখপাত্র হিসেবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন তিনি।

অবশ্য হালা রাহারিতই প্রথম কোনো কর্মকর্তা নন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন। গত মার্চে একই কারণে পদত্যাগ করেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার ব্যুরোর কর্মকর্তা অ্যানেলি শেলিন। তার আগে গত জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তারিক হাবাশ।

গাজা ইস্যুতে পদত্যাগ করা প্রথম মার্কিন কর্মকর্তার নাম জশ পল। তিনিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এর পর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।

চস/স