spot_img

১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি শেষ হচ্ছে আজ

ভারতের অযোধ্যার ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হচ্ছে। আজ ১৬ অক্টোবর বুধবার বিকাল ৫টায় এ মামলার প্রাত্যহিক শুনানি শেষ হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সেই মুহূর্ত

জি নিউজ জানিয়েছে, আগামী ১৭ নভেম্বর ভারতের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। মঙ্গলবার ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ইঙ্গিত দেন, অযোধ্যাতে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি সংক্রান্ত বিরোধের দৈনিক শুনানির বিষয়টি বুধবার শেষ হতে পারে।

ভেঙ্গে ফেলা বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের দাবি জানানো পক্ষের আইনজীবী কে পরাসরণ মঙ্গলবার আদালতে বলেন, মুসলমানরা অন্য যে কোনও মসজিদে গিয়ে নমাজ পড়তে পারেন। শুধু অযোধ্যাতেই ৫৫ থেকে ৬০ টি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু হিন্দুদের কাছে এটি ভগবান রামের জন্মস্থান। আমরা জন্মস্থান পরিবর্তন করতে পারি না।

মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা বলছেন, ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত বাবরি মসজিদের জমি নিয়ে হিন্দুদের পক্ষ থেকে কোনও দাবি তোলা হয়নি। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা মসজিদটি ভেঙ্গে দেয়। তাই এখন সেখানে মসজিদটি পুনঃস্থাপনই যৌক্তিক।
প্রায় ১৫ হাজার উগ্রপন্থী মসজিদে প্রবেশ করে ভাঙচুরে অংশ নেয়

এদিকে এই মামলা নিয়ে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে; এমন আশঙ্কায় উত্তরপ্রদেশ সরকার আগে থেকেই অযোধ্যায় চার বা ততোধিক লোকের যে কোনও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

জমি সমস্যা নিয়ে মধ্যস্থতা কমিটি কোনও সমাধান খুঁজে বের করতে সক্ষম না হওয়ায় গত ৬ আগস্ট থেকে ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ এই মামলার দৈনিক শুনানি শুরু করে।

২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের চারটি দেওয়ানি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে ১৪টি আবেদন জমা পড়ে। এলাহাবাদ আদালত রায় দিয়েছিল যে, অযোধ্যার ২ দশমিক ৭৭ একর জমি সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রাম লল্লা, এই তিনটি দলের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া উচিত।

অনেক হিন্দুদের বিশ্বাস, এই স্থানটি ভগবান রামের জন্মস্থান ছিল। সেখানে একটি প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর বাবরি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ষোড়শ শতকে নির্মিত মসজিদটি ভেঙে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। এর জেরে শুরু হয় ব্যাপক মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা। নিহত হয় প্রায় দুই হাজার মানুষ। সূত্র: এনডিটিভি, জি নিউজ, বিবিসি।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss