চট্টগ্রামের উপজেলা পর্যায়ে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ (তৃতীয়) প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পটিয়া উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রথম দিনে ১৬০ জন বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় টিকা প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হচ্ছে, বাকি উপজেলাগুলোতেও দু-একদিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে, নগরের প্রধান টিকাদান কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আজ বুধবার থেকে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে তৃতীয় ডোজের টিকা প্রদানের বিষয়ে এসএমএস পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন তথ্যই রাতে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের তত্তাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার পর সীমিত পরিসরে কোভিডের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে এসএমএস পাঠানো শুরু হয়েছে। তবে যারা এসএমএস পাবে, তারা টিকা কার্ডটি সুরক্ষা এপস থেকে প্রিন্ট করে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। এসএমএস ছাড়া কাউকে টিকা প্রদান করা হবে না। অন্যদিকে, নগরীর এ কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হলেও বাকি কেন্দ্রগুলোতে চলতি সপ্তাহে শুরু হচ্ছে না বুস্টার ডোজ টিকাদান কার্যক্রম। বুস্টার ডোজের টিকার ঘাটতি থাকায় সবগুলো কেন্দ্রে শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে টিকা পাওয়া সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহ থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নির্দেশনা পেলেও পর্যাপ্ত টিকা নেই। তবে দু-একদিনের মধ্যে টিকা আসবে। এরপরই সকল কেন্দ্রে এ কার্যক্রম শুরু করা যাবে।’
নগরীর জেনারেল হাসপাতালে কার্যক্রম শুরু হলেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে আগামী সপ্তাহ ছাড়া শুরু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও টিকাদান বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, সিনোফার্মের টিকা ছাড়া বাকি যে কোন টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে প্রদান করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এই মুহুর্তে আমাদের হাতে সিনোফার্ম ছাড়া কোন টিকা নেই। টিকা পাওয়ার পরই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
চস/আজহার