থার্টি ফাস্ট নাইটে উন্মুক্ত স্থানে কোনো নাচগান কিংবা কনসার্ট করা যাবে না। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে থাকবে পুলিশের চেকপোস্ট। থাকবে বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি। থাটি ফাস্ট নাইটে বন্ধ থাকবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও নেভাল এলাকা।
থার্টি ফাস্ট নাইটে নগরীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়।
সিএমপির নিদের্শনাসমূহ হলো :
১. রাস্তা, ফ্লাইওভার, ভবনের ছাদ এবং প্রকাশ্য স্থানে কোন ধরনের জমায়েত/সমাবেশ/উৎসব করা যাবে না।
২. থার্টি-ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে অনুমোদিত স্থানে আয়োজিত সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসমূহে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনাসমূহ ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
৩. উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন বা সমাবেশ বা নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৪. কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি/পটকা ফোটানো যাবে না। কোন ভবনের ছাদে আতশবাজি/পটকা
ফোটানো হলে ভবনের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৫. ৩১ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সী-বীচ ও পারকি বীচ এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেয়া হবে না।
৬. ৩১ শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত লাইসেন্সকৃত সকল বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে।
৭. উচ্চস্বরে গাড়ির হর্ণ বাজানো যাবে না কিংবা জয়রাইড, বেপরোয়া গতিতে গাড়ী বা মোটরবাইক চালানো
যাবে না।
৮. আনন্দ উদযাপনের মধ্যে সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রত্যাশিত ও গ্রহণযোগ্য শালীনতা বজায় রাখতে হবে।
৯. মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। মাদকাসক্ত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১০. সকল অনুষ্ঠানে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নারীদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।
১১. নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থী কর্মকান্ড হতে বিরত থাকতে হবে।
১২. অশোভণ আচরণ এবং বে-আইনী কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে।
১৩. হোটেলে ডিজে পার্টির নামে কোন স্পেস বা কক্ষ ভাড়া দেওয়া যাবে না।
১৪. জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয় এমন যে কোন কর্মকান্ড পরিহার করতে হবে।
১৫. ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ১০ টার পর সকল ফার্স্ট ফুডের দোকানসহ মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে।
১৬. থার্টিফাস্ট নাইটি পালনে বিকেল ৪ টা হতে পরদিন সকাল ১০ টা পর্যন্ত সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না অনুরোধ করা হলো।
চস/আজহার


