চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে যখন আগুনের সূত্রপাত হয়, তখন ফেসবুক লাইভে তা প্রচার করছিলেন অলিউর রহমান। ডিপোর কনটেইনারে আগুন নেভানোর কাজ করছিলেন ফায়ার সার্ভিসের ৮-১০ জন কর্মী। ৪০ মিনিট পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণেও ছিল। ৪১ মিনিটে দেখা যায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ।
লাইভে থাকা অলিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে উড়ে গিয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। তখনো লাইভটি চলছিল, সেখানে মানুষকে বলতে শোনা যায় ‘আল্লাহ, আল্লাহ বাঁচাও’।
আরও পড়ুন:- হাসপাতালে অতিরিক্ত জনসমাগম না করার অনুরোধ: নওফেল
পরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা মৃতদেহের মধ্যে লাইভে থাকা অলিউর রহমানের পরিচয় শনাক্ত হয়। তাঁর বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার ফটিগুলি গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
আরও পড়ুন:- সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩
রুয়েল নামে অলিউর রহমানের সহকর্মী বলেন, ‘আগুন লাগার পর আমরা অনেকে চলে আসি। কিন্তু অলিউর রহমান ফেসবুকে লাইভের জন্য থেকে যান। বিস্ফোরণে তিনি উড়ে যান। সেখানে ১০-১৫ জন ছিলেন। আমার মনে হয় সবাই মারা গেছেন। বিস্ফোরণের পর প্রায় দুই মিনিট শুধু বিকট শব্দ শোনা গেছে। যেন রকেট হামলার দৃশ্য!’
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, বিস্ফোরণের পরপরই পার্কভিউতে ৩০ জনকে নিয়ে আসা হয়। ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, ১৪ জনকে ভর্তি করানো হয়। একজনকে আনা হয় মৃত অবস্থায়। তাঁর পুরো শরীর ঝলসে গেছে। তিনি ফেসবুকে লাইভে ছিলেন।
চস/আজহার


