নগরের বন্দর থানাধীন নিমতলা বিশ্বরোডে একসঙ্গে থাকতেন চার ভাই। জীবিকা নির্বাহ করতেন গাড়ি চালিয়ে। শনিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় বন্দর থেকে গাড়ি নিয়ে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে গিয়েছিল তাদের একজন সুমন।
সুমনের ভাই নোমান বিলাপ করছিলেন, ‘অ ভাইরে ভাই, আমি কি করবো। আমাদের কি হবে? আমাদের খবর কে রাখবে, কে এখন ভাত খাওয়ার জন্য ডাকবে- অ ভাই’।
সুমন তার ছোট ভাই মামুনকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিল- ‘ডিপোতে আগুন লেগেছে, আমি চলে আসার চেষ্টা করছি’। সুমন এসেছে ঠিকই, তবে জীবিত নয়।
রোববার (৫ জুন) সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলছিলেন সুমনের ভাই মামুন।
সুমন (৩০) নোয়াখালী সদর থানার সোনাপুর সুরেস্তা বাজার এলাকার মৃত মো. মিজানের ছেলে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সুমন ছিলেন মেঝো। বিবাহিত সুমন এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। বড় মেয়ের বয়স পাঁচ আর ছোট মেয়ের বয়স দেড় বছর।
মামুন বলেন, রাতে সুমন আমাকে জানিয়েছিল বিএম ডিপোতে আগুন লেগেছে। আমি গাড়ি নিয়ে চলে আসছি। তোরা টেনশন করিস না। এরপর আর মোবাইলে কল যায় না। সারা রাত মোবাইলে কল দিয়ে পাইনি। সকাল থেকে মেডিক্যালে এসে পাইনি। সকাল সোয়া এগারটার দিকে মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছি।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে শনিবার (৪ জুন) রাতে। এ ঘটনায় মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। তাদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চস/আজহার


