দুবাইয়ের গোল্ডেন ভিসাধারী ৫৪৯ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯৭২টি প্রপার্টি কেনার অভিযোগ উঠেছে। এই তালিকায় রয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী এবং পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খানের নামও। তাদের সকলের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অভিযোগ, ৫৪৯ জন বাংলাদেশি মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ মূলধন সুইচ ব্যাংকসহ বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে পাচার করেন। পরবর্তীতে সেই অর্থ দুবাইয়ে স্থানান্তর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের গোল্ডেন ভিসা সুবিধায় ৯৭২টি প্রপার্টি কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন উপপরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল, মো. আহসান উদ্দিন এবং মো. ইসমাইল হোসেনের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে দুদক। তবে, কারা কারা ওই তালিকায় রয়েছে সেটা নিশ্চিত করেনি দুদক।
সংস্থাটির একটি ঊর্ধ্বতন সূত্র জানায়, তালিকায় আলোচিত আরাভ খানসহ তার পেছনের পৃষ্ঠপোষকদের নামও রয়েছে। যাদের মাধ্যমে খুনের আসামি হয়েও বিদেশ গমন, দুবাইয়ের রেসিডেন্স ভিসা প্রাপ্তি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন আরাভ খান।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, আমাদের কাছে ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ব্যক্তি যেই হয়ে থাকুক না কেনো আমাদের কাজ হবে বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধান করে অর্থপাচারকারীকে খুঁজে বের করা এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। অভিযোগ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রয়োজনে দুবাইয়ে যেতেও বাধা নেই।
চস/স