spot_img

২৬শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শনিবার
১১ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনছে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। উচ্চ মানসম্পন্ন এই চিনি আগামী মাসেই চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। কয়েক দশক পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণে চিনি কিনছে বাংলাদেশ।

এর আগে ভারতের কাছ থেকে চিনি কিনতো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন উচ্চমানের চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। কর্মকর্তাদের মতে, বহু দশক পর ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ বাংলাদেশে এত বিপুল পরিমাণে নিজেদের উৎপাদিত পণ্য পাঠাচ্ছে পাকিস্তানি চিনিশিল্প।

দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কমবেশি ছয় লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনিশিল্প।

এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে। থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনিশিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে।

চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত পাকিস্তানের চিনিশিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের যৌথ প্রচেষ্টায় দেশের চিনিশিল্পও সফলভাবে বিপুল পরিমাণ চিনি রপ্তানি করে চলেছে।

এর আগে এসব চিনি পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান এবং আজারবাইজানে পাচার হয়ে যেত। চলতি বছর পাকিস্তানের ৮০টিরও বেশি চিনিকল গত সোমবার থেকে চিনি উৎপাদন শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি চিনির দাম ছিল ৫৩০ ডলার।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss