spot_img

১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বুধবার
২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডেস্ক রিপোর্ট

সর্বশেষ

বিবিএসের জরিপ

দেশে তরুণ বেকার ১৯ লাখ ৪০ হাজার

দেশের ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী ২৬.৭৬ মিলিয়ন (২ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার) তরুণ শ্রমশক্তির মধ্যে ১.৯ মিলিয়ন (১৯ লাখ ৪০ হাজার) বা ৭.২ শতাংশ বেকার বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ ২০২৩’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মোট বেকার তরুণদের মধ্যে গ্রামীণ অঞ্চলে ৮০.৭ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে রয়েছে ৭৫.১ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে মোট বেকার জনগোষ্ঠীর ৭৮.৯ শতাংশ হলো ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণ।

জরিপে উঠে এসেছে, সবচেয়ে বেশি বেকার তরুণদের মধ্যে ৩১.৫ শতাংশ উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন, ২১.৩ শতাংশ মাধ্যমিক এবং ১৪.৯ শতাংশ তরুণ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন।

মোট বেকার তরুণদের মধ্যে ১.৩৪ মিলিয়ন বা ৬৯.১ শতাংশ গ্রামীণ অঞ্চলের, আর ০.৬০ মিলিয়ন বা ৩০.৯ শতাংশ শহরাঞ্চলের। তরুণদের প্রাক্কলিত বেকারত্বের হার ৭.৩ শতাংশ- পুরুষদের মধ্যে এ হার ৯.৬ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে ৪.৮ শতাংশ।

শহরাঞ্চলে তরুণদের বেকারত্বের হার ১০.৫ শতাংশ। নগরাঞ্চলে নারীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৩.৩ শতাংশ ও পুরুষদের মধ্যে ৯.৩ শতাংশ। গ্রামীণ অঞ্চলে বেকারত্বের হার ৬.৪ শতাংশ- পুরুষদের ৯.৮ শতাংশ ও নারীদের ৩.৫ শতাংশ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ থেকে ৩ মাসের বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ২৪.৮ শতাংশ। নারী ও পুরুষদের বেকারত্বের হারেও পার্থক্য বেশি। নারীরা তুলনামূলক কম সময় বেকার থাকেন; মাত্র ৭.৯ শতাংশ তরুণী দুই বছর বা তার বেশি সময় ধরে বেকার থাকেন।

প্রাথমিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেশি, কিন্তু উচ্চশিক্ষিতদের (বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি) মধ্যে বেকারত্বের হার তুলনামূলক কম। এছাড়া বেকার তরুণদের বড় একটি অংশ ১ থেকে ৩ মাস কর্মহীন ছিলেন। দীর্ঘমেয়াদি বেকার তরুণদের মধ্যে (১-২ বছর বা তার বেশি সময়) একটি উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চশিক্ষিত- যথাক্রমে ১৯.২ শতাংশ ও ১৬.৩ শতাংশ।

জরিপে আরও দেখা গেছে, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণদের মধ্যে ৬১.৭ শতাংশ নারী এবং ৩৮.৩ শতাংশ পুরুষ। শিক্ষা, কর্ম ও প্রশিক্ষণে না থাকা নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার পেছনে নারীদের গৃহস্থালি কাজ ও প্রাতিষ্ঠানিক বাধাগুলো মূল কারণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষা, কর্ম ও প্রশিক্ষণে না থাকা সবচেয়ে বড় অংশের বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছর। এ বয়সী ৩.৩৬ মিলিয়ন বা ৪০.৭ শতাংশ তরুণই শিক্ষা, কর্ম বা প্রশিক্ষণে নেই। ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার ৩০ শতাংশ বা ২.৪৮ মিলিয়ন এবং ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এ হার ২৯.৩ শতাংশ বা ২.৪২ মিলিয়ন।

শিক্ষা, কর্ম ও প্রশিক্ষণে না থাকা তরুণদের মধ্যে ৪১.৯ শতাংশ গ্রামীণ ও ৫৮.১ শতাংশ শহুরে অঞ্চলের। সামগ্রিকভাবে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে শিক্ষা, কর্ম ও প্রশিক্ষণে না থাকার হার ১৮.৯ শতাংশ- পুরুষদের মধ্যে এ হার ১৫.৪ শতাংশ ও নারীদের মধ্যে ২২.১ শতাংশ।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss