spot_img

২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

তিব্বতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬

চীনের প্রত্যন্ত তিব্বত অঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৮৮ জন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) হংকং ফ্রী প্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তিব্বতের পবিত্রতম শহরগুলোর কাছে হিমালয়ের উত্তর পাদদেশে মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ৭দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এই ভূমিকম্পে প্রতিবেশি নেপাল, ভুটান ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলও কেঁপেছে।

এই ভূমিকম্পে তিব্বতে এখনও পর্যন্ত ১২৬ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৮৮ জন আহত হয়েছেন।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, হিমালয় পর্বতমালার উত্তরাঞ্চলীয় প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত প্রত্যন্ত ডিংরি কাউন্টির সোগো শহরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার ব্যাসের মধ্যে তিনটি শহর ও ২৭টি গ্রাম আছে। গ্রামগুলোর মোট লোকসংখ্যা ৬৯০০ জন।

শিগেইস বিভাগের ডিংরি কাউন্টিতেই অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ডিংরির চাংসুও শহরে টংলাই এলাকায় বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। শিগেইস বিভাগের লোকসংখ্যা প্রায় আট লাখ।

শিগেইস বিভাগের কেন্দ্রীয় শহর শিগেইস তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, এটি শিগাৎসি নামেও পরিচিত। লাসা থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপমশ্চিমের এ শহরটি তিব্বতের দ্বিতীয় পবিত্রতম শহর এবং পাঞ্চেন লামার বাসস্থান। ভূমিকম্পে হিমালায় পর্বতমালার নিকটবর্তী এই শহরটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ডিংরি কাউন্টির প্রধান সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পটি তাদের কাউন্টিতে প্রবলভাবে অনুভূত হয়েছে। মূল ভূমিকম্পের পর কয়েক ডজন পরাঘাতও অনুভূত হয়েছে।

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হিসাব করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শহরে উপস্থিত হচ্ছে বলে সিনহুয়া জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে কারণে চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল, নেপাল ও ভারতের উত্তরাঞ্চলে ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়।

ভূমিকম্পটি নেপাল, ভুটান ও ভারতের উত্তরাঞ্চলের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss