spot_img

২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ

চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের স্মরণ

চট্টগ্রামে স্বাধীনতা দিবসের সকালে একাত্তরের বীর শহীদদের স্মরণ করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। নগরের কাট্টলীতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৬ মার্চ) সূর্যোদয়ের পর ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

এরপর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সিটি মেয়র বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। আমরা বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চাই। সকল শ্রেণির নাগরিকদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চাই। ১৯৭১ ও ২০২৪ নিয়ে কোনও প্রকার বিতর্কে যাওয়া উচিত হবে না। একটিকে দিয়ে অন্যটি ঢেকে দেওয়া যাবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ২০২৪ ও ১৯৭১ একই সূত্রে গাঁথা। একাত্তরে লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে অধিকার আদায়ের জন্য, ঠিক তেমনি ২০২৪ সালেও অধিকার আদায়ের জন্যই হাজারের ওপর ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে। সুতরাং আমরা একাত্তরকে ভুলবো না, একাত্তরের চেতনা নিয়ে ২০২৪-কে নেতৃত্ব দিবো।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, স্বাধীনতা দিবস মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঈদের মতো আনন্দের। আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষা যদি পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হতো আরও বেশি খুশি হতাম। আমরা বার বার দেখেছি, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সরকারি কর্মকর্তাদের কিছু ব্যর্থতার জন্য যে লক্ষ্য নিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।

এদিকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকে শহীদ মিনারে জড়ো হয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, চিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী সহ নানান কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন শিক্ষার্থী, পুলিশ, কারারক্ষী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, আনসার-ভিডিপির সদস্য ও বিএনসিসির সদস্যরা।

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss