ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনে হোয়াইট হাউসের শর্ত পূরণে অস্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ২ দশমিক ২ বিলিয়ন (২২০ কোটি) ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলন ও ডাইভার্সিটি প্রোগ্রাম বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কেন্দ্রীয় তহবিল স্থগিত করে দিল ট্রাম্প সরকার।
স্থগিত হওয়া অর্থের মধ্যে রয়েছে ২.২ বিলিয়ন ডলারের গবেষণা অনুদান এবং ৬০ মিলিয়ন ডলারের সরকারি চুক্তি। আমেরিকার শিক্ষা দফতরের অ্যান্টিসেমিটিজম টাস্ক ফোর্সের অভিযোগ, হার্ভার্ডের এই প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, দেশের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এক ধরনের ‘অধিকারবোধ’ চেপে বসেছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।”
এর আগে সোমবার হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার দৃঢ়ভাবে জানান, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না তার প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত সদস্যদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেব না। কী পড়ানো হবে, কে পড়াবেন বা কাকে ভর্তি করা হবে- তা ঠিক করবে হাভার্ড, কোনও সরকার নয়।”
এই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই হার্ভার্ডের ওপর কেন্দ্রীয় তহবিল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করে প্রশাসন।
শুক্রবার এক চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হার্ভার্ডের প্রশাসনিক কাঠামো, ভর্তি নীতি, ডাইভার্সিটি ইনিশিয়েটিভ এবং কিছু ছাত্র সংগঠনের স্বীকৃতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। ৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
এর মধ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে টানাপোড়েন চূড়ান্তে পৌঁছল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
আরো পড়ুন: ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর
এর আগে একই ধরনের চাপের মুখে নীতিগত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিল কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। পেনসিলভানিয়া, ব্রাউন এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের নজরে রয়েছে।
চস/স


