spot_img

২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, শুক্রবার
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সর্বশেষ

গাজা দখলের অভিযান ‘স্থগিত’ রাখার নির্দেশ

সামরিক বাহিনীকে গাজা দখলের অভিযান ‘স্থগিত’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সরকার। এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত রেডিও ‘আর্মি রেডিও’।

আজ (৪ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর প্রতিবেদক ডোরন কাদোশ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের ‘রাজনৈতিক পর্যায়’ সামরিক বাহিনীকে গাজার কর্মকাণ্ড ‘ন্যূনতমে’ সীমিত রাখতে এবং শুধুমাত্র ‘রক্ষামূলক অভিযান’ চালাতে নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে লিখেছেন, ‘প্রায়শ্চিত্তিক অর্থে: গাজা সিটি দখলের অভিযান আপাতত বন্ধ রয়েছে।’

এর আগে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, ইসরায়েলি রাজনৈতিক নেতারা ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর করার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গাজায় সামরিক কার্যক্রম কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক ঘটনার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান এয়াল জামির রাতে উচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন বৈঠক করেছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘রাজনৈতিক পর্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী, সেনাপ্রধান বন্দিদের মুক্তির জন্য ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর করার প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করতে বলেছেন। পাশাপাশি, আমাদের বাহিনীর নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে এবং সমস্ত সামরিক সক্ষমতা সাউদার্ন কমান্ডে সংরক্ষিত থাকবে।’

গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, গাজায় অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলি বাহিনী প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় পরিকল্পনার বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়া দেখে তিনি ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তি’র সম্ভাবনা দেখছেন। ফলে ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধ করতে বলেছেন তিনি।

তার পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজাকে অস্ত্রমুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করা হবে এবং একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে ট্রাম্প নিজে এর বাস্তবায়ন তদারকি করবেন।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, অনুমোদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাসের হাতে থাকা সব ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি পাবে এবং বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলি কারাগার থেকে ছাড়া হবে। ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে সরে যাবে এবং একটি প্রযুক্তিগত প্রশাসন আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে শাসনভার গ্রহণ করবে।

সূত্র : আল জাজিরার, টাইমস অব ইসরায়েল

চস/স

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss