নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও ২০০৮ সালের আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বেশ কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করে এবার নতুন আচরণবিধি প্রণয়ন করেছে ইসি।
ত্রয়োদশ নির্বাচন সামনে রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোটের প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ, অসৎ উদ্দেশ্যে এআই ব্যবহারে মানা এবং প্রথমবারের মতো পোস্টার ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হলো ভোটের প্রচারে। এ ছাড়া ড্রোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাসহ কী করা যাবে, কী করা যাবে না, তা তুলে ধরা হয়েছে বিধিমালায়।
আচরণবিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা এবং দলের জন্য দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তদন্তসাপেক্ষে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির। এ ছাড়া একমঞ্চে প্রার্থীদের ইশতেহার ঘোষণা, আচরণবিধি মানায় দল ও প্রার্থীকে অঙ্গীকারনামা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।
সামাজিকমাধ্যম ব্যবহার করে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা করতে অ্যাকাউন্ট আইডি ও ইমেইল আইডিসহ অন্যান্য শনাক্তকরণ তথ্যাদি প্রচারণা শুরুর আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে দাখিল করতে হবে। অসৎ উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা যাবে না।
আচরণবিধিতে আরও রয়েছে, কোনো দল বা প্রার্থী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদেশে জনসভা, পথসভা বা কোনো প্রচারণা করতে পারবে না। ভোটার স্লিপ বিতরণে প্রার্থীর নাম, ছবি, পদের নাম ও প্রতীক উল্লেখ করা যাবে না।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তালিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদেরও যোগ করা হয়েছে। ফলে তারা কোনো প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নামতে পারবেন না। আচরণবিধি জারির মধ্যে দিয়ে নির্বাচনি আইনের সব ধরনের সংস্কার কাজ শেষ করেছে ইসি।
চস/স


