spot_img

১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

ফের বন্যা হতে পারে আগস্টের শেষের দিকে

দেশের বিদ্যমান বন্যা থেকে মুক্তি ঘটতে পারে আগস্টের মধ্যভাগ নাগাদ। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ মাসের শেষ নাগাদ ফের স্বল্পমেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।

সোমবার (৩ আগস্ট) আগস্ট মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগস্টে বাংলাদেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি বর্ষাকালীন নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উন্নতি হয়ে মধ্যভাগ নাগাদ স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে। এ মাসের শেষার্ধে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

অন্যদিকে ১ আগস্ট এক পূর্বাভাসে আগামী ১০ দিনের (১০ আগস্ট পর্যন্ত) বিষয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি ৭ আগস্টের মধ্যে কমতে পারে। আগামী সাতদিনে কুড়িগ্রাম, বগুড়া, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়তে পারে। রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্ট, মুন্সিগঞ্জ জেলার ভাগ্যকুল পয়েন্ট এবং শরীয়তপুর জেলার সুরেশ্বর পয়েন্টে আগামী সাতদিন পানি ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। ফলে আগামী সাতদিনে এসব জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।

ঢাকার চারপাশের নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে। নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পানি ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে। এরপর কমে বিপৎসীমার নিচে চলে আসতে পারে। ফলে জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আগামী চারদিন স্থায়ী হতে পারে।

এবার করোনা ও বানের পানিতে ঈদের আনন্দ ভেসে গেছে কৃষকের। একের পর এক দুর্যোগে নিঃস্ব হয়েছেন দেশের অনেক কৃষক। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমে করোনা, এরপর সুপার সাইক্লোন আম্ফান, কালবৈশাখী, অতিবৃষ্টি ও সর্বশেষ বন্যার কবলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের।

এতে অনেক কৃষকের আউশ ধান, আমনের বীজতলা এবং সবজিক্ষেত বানের পানিতে ভেসে গেছে। অনেকের বাড়িঘরে পানি উঠেছে। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল নিয়েও অনেকে বিপদে আছেন।

এর আগে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২০০৪ সালের পর দেশে এত দীর্ঘসময় ধরে আর কখনও বন্যা ছিল না।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০০৪ সালে এ রকম দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হয়েছিল ১৯৯৮ ও ১৯৮৮ সালে। এরপর এত দীর্ঘমেয়াদি বন্যা ছিল না।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss