শুক্রবার চোটে পড়ার আগ মুহূর্তে শ্রীলংকা সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মাশরাফি। এ সময় তিনি জানান, বিশ্বকাপের সময় ভুগতে থাকা চোট কাটিয়ে উঠেছেন; কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই নতুন চোট নিয়ে তাকে অনুশীলন মাঠ ছেড়ে যেতে হয়। প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ ড্রেসিংরুমে শুশ্রূষা নেন তিনি। এরপর বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীও তাকে পর্যবেক্ষণ করেন। তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সংবাদমাধ্যমকে দেবাশীষ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মাশরাফির বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়ে গ্রেড ওয়ান চোট ধরা পড়েছে। এর আগেও এই চোট ছিল। এখন সেরে উঠতে তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগতে পারে। এ কারণে আগামী এক মাস যে কোনো ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।’ ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম চোটের কারণে কোনো ম্যাচ মিস করতে যাচ্ছেন মাশরাফি। রাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, মাশরাফির অনুপস্থিতিতে শ্রীলংকায় তিন ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেবেন ওপেনার তামিম। এর কিছুক্ষণ পর বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, মাশরাফির মতো সাইফউদ্দিনেরও শ্রীলংকায় যাওয়া হচ্ছে না। তার পিঠের পুরনো চোট এখন বেড়ে গেছে। দু’জন বোলার শ্রীলংকা সিরিজ থেকে ছিটকে যাওয়ায় তাদের বদলি হচ্ছেন তাসকিন ও রেজা। তাসকিন বর্তমানে বিসিবি একাদশের হয়ে ভারতের কর্ণাটক সফরে আছেন। আর ফরহাদ খেলছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলে। জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০১৪ সালে খেলা ফরহাদ বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে ডাক পেয়েছিলেন। তবে কোনো ম্যাচ তখন খেলা হয়নি। একই স্কোয়াডে ছিলেন তাসকিনও। ডানহাতি এ পেসার জাতীয় দলে শেষ খেলেছেন ২০১৮ সালের মার্চে। ওয়ানডে ফরম্যাট ধরলে তাসকিনের শেষ ম্যাচ ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, আর ফরহাদের পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০১১ সালের ডিসেম্বরে।
২৬, ২৮ ও ৩১ জুলাই তিনটি ওয়ানডে খেলতে শনিবার কলম্বোর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা বাংলাদেশ দলের।
চস/আজহার