নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েল হত্যা মামলায় বাসচালকসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হানিফ পরিবহনের বাসচালক জামাল হোসেন, চালকের সহকারী ফয়সাল হোসেন ও সুপারভাইজার মো. জনি। জামাল ও ফয়সাল সহোদর। রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ২ এপ্রিল এই হত্যা মামলার তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৪ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
পায়েলের বাড়ি চট্টগ্রামের হালিশহর সিডিএ আবাসিক এলাকায়। ২০১৮ সালের ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি। দুই দিন পর ২৩ জুলাই মুন্সিগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা-পুলিশ। এরপর হানিফ পরিবহনের ওই বাসের সুপারভাইজার জনিকে ঢাকার মতিঝিল এবং চালক জামাল হোসেন ও তার সহকারী ফয়সাল হোসেনকে আরামবাগ থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আরো পড়ুন: নিখোঁজ সাংবাদিককে উদ্ধারে পুলিশ সকল প্রকার কৌশল অবলম্বন করছে: সিএমপি কমিশনার
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গজারিয়া এলাকায় গাড়ি যানজটে পড়ায় প্রস্রাব করার কথা বলে বাস থেকে নেমেছিলেন পায়েল। বাস চলতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে ওঠার সময় দরজার সঙ্গে ধাক্কা লেগে পড়ে গিয়ে সংজ্ঞা হারান। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে দেখে তাকে হাসপাতালে না নিয়ে দায় এড়াতে ভাটেরচর সেতু থেকে নিচের খালে ফেলে বাস নিয়ে ঢাকায় চলে যান আসামিরা। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মুন্সিগঞ্জ আদালত থেকে মামলাটি বিচারের জন্য চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়।
চস/স