spot_img

২৭শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, রবিবার
১২ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সর্বশেষ

তাবিজে স্বামীকে সুস্থ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারী

নিজেকে ফকির বলে পরিচয় দেন। প্রায় সময়ই ঢাকার উত্তরায় একটি বাসায় তার যাতায়াত। ওই বাসায় গিয়ে একদিন হঠাৎ এক নারী সদস্যকে বললেন, আপনার স্বামী অসুস্থ, বেশি দিন বাঁচবে না। তাকে সুস্থ করতে তাবিজকবচ করতে হবে। স্বামীর জীবন বাঁচাতে হায়দার নামে ওই ফকিরের দ্বারস্থ হন স্ত্রী।

কিন্তু তাবিজ-কবচের নামে ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ফকির। শুধু তাই নয় ভুক্তভোগীর বোনকেও ধর্ষণ করেন তিনি। সেইসঙ্গে নগদ টাকাসহ স্বর্ণ-গহনাও হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার উত্তরা পশ্চিম থানায় ফকির হায়দারের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ আর্থিক প্রতারণার মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।

মামলায় ফকির হায়দারকে সোমবারই গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন মঙ্গলবার তাকে দুই দিনের পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ফকির হায়দার।

এ ব্যাপারে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা  বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় বাসায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন ওই ভুক্তভোগী নারী। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ওই দম্পতির উত্তরায় বাসায় যাতায়াত ছিল হায়দার নামে ওই ফকিরের।’

‘হঠাৎ একদিন ওই ফকির ওই নারীর বাসায় গিয়ে বলেন, আপনার স্বামী তো ভীষণ অসুস্থ। তিনি তো বেশি দিন বাঁচবেন না। তাকে বাঁচাতে হলে তাবিজ-কবচ করতে হবে। ওই নারীর কাছে তার স্বামীর সম্পর্কে আরও অনেক নেতিবাচক তথ্য তুলে ধরতে থাকেন তিনি।’

এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, ওই নারীকে জিনের ভয় দেখান হায়দার। তার (হায়দার) কথা মতো ওই নারী তার স্বামীকে নানা কিছু খাওয়ান। একপর্যায়ে ওই নারী তার স্বামীকে বাসা থেকে বের করে দেন। পরে একদিন হায়দার ওই নারীকে কিছু একটা খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন।

সর্বশেষ হায়দার গত ৪ আগস্ট উত্তরার বাসায় ওই নারীকে আবারও ধর্ষণ করেন। নানা ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারীর কাছ থেকে হায়দার চার লাখ টাকা নেন। টাকার পাশাপাশি হায়দার ওই নারীর কাছ থেকে ছয় ভরি স্বর্ণও নেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

ওসি তপন বলেন, হায়দার ফকির নয়। কিন্তু তাবিজের মাধ্যমে ওই নারীর স্বামীকে সুস্থ করার কথা বলে একাধিকবার ধর্ষণ করা ও নগদ টাকা ও অলঙ্কার হাতিয়ে নেয়াই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।

জিজ্ঞাসাবাদে হায়দার স্বীকার করেছেন, প্রতারণার মাধ্যমে ওই নারীকে তিনি বারবার ধর্ষণ করেছেন। ভুক্তভোগী ওই নারীর এক বোনকেও ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন আসামি হায়দার। একই কায়দায় তিনি আরও কোথাও ফাঁদ পেতে একই ধরনের অপকর্ম করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি তপন।

চস/আজহার

Latest Posts

spot_imgspot_img

Don't Miss